কলকাতা : লিওনেল মেসির কলকাতা সফর ঘিরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন উত্তপ্ত হয়ে ওঠার মামলায় ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ইস্তেফা দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এই খবর সামনে আসার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ নিজের সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলেন।
এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে কুণাল লিখেছেন, ‘ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অরূপ বিশ্বাসের ইস্তফা। নেত্রীকে চিঠি লিখে অব্যাহতি চাইলেন তিনি। সূত্রের খবর, সিদ্ধান্ত বিবেচনা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।’
ক্রীড়ামন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করা একটি সই-বিহীন চিঠি এক্সবার্তায় ছড়িয়ে দেন কুণাল। তাতেই লেখেন, ক্রীড়ামন্ত্রীর পদ থেকে অরূপ বিশ্বাসের ইস্তফা।
সংবাদমাধ্যমকে ফোনে কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জাজনক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী আগেই দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজধর্ম পালন করেছেন। ১৯০০ সালে ১৬ আগস্ট ইডেনে ১৬ জনের মৃত্যুর পর সিপিএম করেনি। ১৯৯৬ সালে ইডেনে ভারত শ্রীলঙ্কা ম্যাচের তাণ্ডবের পরও সিপিএমের কেউ করেননি।
যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসি-কাণ্ডে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক রাজীব কুমার ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে শোক কজ করা হল।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্যসচিবের দফতরের লিখিত নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।
রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাইল রাজ্য সরকার। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ কুমারেরও দ্রুত জবাব তলব করা হয়েছে। দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে বিধাননগরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অনীশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ক্রীড়া দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ কুমার সিনহাকেও শোকজ করা হয়েছে। কেন, ঘটনার দিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ওরকম ঘটনা হল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছে।
এছাড়াও, যুবভারতীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অবিলম্বে দেওয়ার নির্দেশ হল অবসরপ্রাপ্ত আমলা দেবকুমার নন্দনকে।

