ব্রিসবেনের গাব্বায় দিন-রাতের দ্বিতীয় অ্যাশেজ টেস্ট মাত্র চার দিনেই শেষ হলো অস্ট্রেলিয়ার দুরন্ত জয় দিয়ে। ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্টিভ স্মিথের দল। ম্যাচের শেষ দিন শুরু থেকেই মরিয়া চেষ্টা চালান আগের দিন অপরাজিত থাকা ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং উইল জ্যাকস।
পরাজয়কে সামনে রেখেও প্রতিরোধ গড়তে চেয়েছিলেন দু’জনেই। প্রথম সেশন ও চা-বিরতি পর্যন্ত মিচেল স্টার্ক, নেসের বা কামিন্সদের বিরুদ্ধে বেশ ধীরস্থির ব্যাটিং করেন স্টোকস-জ্যাকস জুটি। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেললেও রানযোগ্য বল পেলেই স্ট্রোক খেলার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তবে বিরতির পর ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ ভেঙে পড়ে। ৪১ রানে খেলতে থাকা উইল জ্যাকসকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন মাইকেল নেসের। এর পর আর দাঁড়াতে পারেননি ইংল্যান্ডের নিম্নক্রমের ব্যাটাররা। গাস অ্যাটকিনসন (৩) এবং ব্রাইডন কার্স (৭) খুব দ্রুত সাজঘরে ফেরেন।
শেষ পর্যন্ত একাই লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক স্টোকস। ধৈর্য ধরে খেললেও নেসেরের বাউন্সারে ৫০ রান করে ফিরতে বাধ্য হন তিনি। ২৪১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া যে ১৭৭ রানে এগিয়ে ছিল, সেই ব্যবধানের জেরে স্টিভ স্মিথদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৬৫ রান। ছোট রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুতে সামান্য চাপে পড়ে। ট্রেভিস হেড ২২ রান করে গাস অ্যাটকিনসনের বলে আউট হন। এরপর ক্রিজে আসা মার্নাস লাবুশেনও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি; তিনিও অ্যাটকিনসনের শিকার হন মাত্র ৩ রান করে। ৩৭ রানে দুই উইকেট পড়ে গেলে কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয় গাব্বার দর্শকদের মধ্যে। তবে ওপেনার জ্যাক ওয়েদারল্ড এবং নতুন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ দেখিয়ে দেন, এ দিন অস্ট্রেলিয়ার জয় আটকানোর মতো পরিস্থিতি আর নেই।বিশেষ করে স্মিথ ছিলেন অত্যন্ত আক্রমণাত্মক মেজাজে। মাত্র ৯ বলে ২৩ রান করে তিনি দ্রুত ম্যাচকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে নিয়ে আসেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ২টি চমৎকার চার ও ২টি দৃষ্টিনন্দন ছয়।
অন্য প্রান্তে ওয়েদারহোল্ড ভাবে অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে। দু’জনের জুটিতেই সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাটকিনসন ৩৭ রানে ২ উইকেট নিলেও ইংল্যান্ডের হতশ্রী ব্যাটিং আবারও বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। ফলে ব্রিসবেন টেস্টে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়ে অ্যাশেজ সিরিজে আরও দৃঢ় অবস্থান তৈরি করে অস্ট্রেলিয়া।

