সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে জঘন্য হার বাংলার ! শেষ আট ব্যাটার আউট সিঙ্গল ডিজিটে

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে দুর্দান্ত শুরুর পরে হঠাৎই পথ হারাল বাংলা। নকআউটে ওঠার লক্ষ্য সামনে রেখেই দল খেলতে নেমেছিল। কিন্তু পণ্ডিচেরির বিরুদ্ধে শনিবারের ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে হারের ফলে সেই স্বপ্ন কার্যত শেষ হয়ে গেল। হায়দরাবাদের জিমখানা গ্রাউন্ডে টস জিতে বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত মোটের ওপর খারাপ না হলেও পণ্ডিচেরি শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

বাংলার হয়ে মহম্মদ শামি আবারও দুর্দান্ত বল করলেন। চলতি টুর্নামেন্টে তিনি ধারাবাহিকভাবে ফর্মে আছেন। পণ্ডিচেরির টপ অর্ডারের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেওয়ায় শামি শুরুতে বাংলাকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে ভালোভাবে সাপোর্ট করেন ঋত্তিক চট্টোপাধ্যায়, যিনি নেন ২ উইকেট। তবুও পণ্ডিচেরির রান থামানো যায়নি। অধিনায়ক আমন খান ৪০ বলে ৭৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। অন্যদিকে যশবন্ত শ্রীরাম ৩৪ বলে ৪০ রান করে দলের স্কোরকে ১৭৭-এ পৌঁছে দেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে এই বিশাল স্কোর ছিল যে কোনও দলের পক্ষেই চ্যালেঞ্জিং।

জবাবে বাংলা শুরুতে যথেষ্ট ছন্দে ছিল। মাত্র ৪ ওভারে দল পৌঁছে যায় ৪৪ রানে। মনে হচ্ছিল বড় রান তাড়া করেও ম্যাচে ফিরতে পারবে বাংলা। কিন্তু চতুর্থ ওভারের শেষ বলে অভিষেক পোড়েলের আউট হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় অঘটন। পরপর উইকেট হারাতে থাকে বাংলা। ব্যাটিং লাইনআপ যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। দলের একমাত্র উজ্জ্বল দিক ছিল করণ লালের লড়াকু ইনিংস। তিনি ২৩ বলে ৪০ রান করে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্য প্রান্তে কেউই দাঁড়াতে পারেননি।

বাংলার শেষ আট ব্যাটার সিঙ্গল ডিজিটে আউট হন। ফলে ১০০ রানেও পৌঁছতে পারেনি বাংলা দল। শেষমেশ ৮১ রানে ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয়। পণ্ডিচেরির হয়ে একা জয়ন্ত যাদব ৪ উইকেট তুলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন।

এই হারের ফলে বাংলার নকআউটে ওঠার আশা প্রায় শেষ। শেষ ম্যাচে হরিয়ানাকে বড় ব্যবধানে হারালেও নেট রান রেটের কারণে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। দুর্দান্ত শুরুর পর এত বড় ব্যবধানে হার তাই বাংলার অভিযানকে কঠিন অবস্থায় ফেলে দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − seven =