আইপিএলের সূচি মেনে ফুটবল খেললে উন্নতি হবে না, মত স্টিমাচের

আইপিএলের  সূচি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপানউতোর চলছে। কিছুদিন আগেই আকাশ ছোঁয়া দামে বিক্রি হয়েছে আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ত্ব। তারপরেই বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলে দেন, আগামী দিনে আড়াই মাস ধরে আইপিএল চলবে এবং আইসিসি ক্যালেন্ডারে সেই সময় অন্য কোনও খেলা চলবে না। এই কথা প্রকাশ্যে আসার পরে প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান। আইপিএলের সূচি নিয়ে এবার সরব হলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্টিমাচ। তাঁর মতে, আইপিএলকে সবসময় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। অন্য খেলার সময়সূচি ঠিক করা হয় আইপিএল ক্যালেন্ডারের ভিত্তিতে। এই কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভারতীয় ফুটবল, এমনটাও দাবি করেছেন স্টিমাচ।

কয়েকদিন আগেই এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ভারত। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই স্টিমাচ বলেন, গত তিন বছর ধরে বহু ঝড় ঝাপটা সামলে আজ এই জায়গায় এসেছে ভারতীয় ফুটবল  দল। কিন্তু সাফল্য নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ তিনি। কীভাবে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করা যায়, সেই বিষয়েই কথা বলতে বেশি আগ্রহী তিনি। স্টিমাচ বলেছেন, সমস্যা এলে আমি চুপ করে থাকতে পারি না। কথা বলে সমস্যা থেকে বেরনোর উপায় খুঁজি আমি। তখনই উঠে আসে আইপিএল ক্রীড়াসূচির প্রসঙ্গ।

তিনি মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেটের জনপ্রিয় লিগ আইপিএলের জন্য ভারতীয় ফুটবলকে সমঝোতা করতে হচ্ছে। যা একেবারেই মানতে নারাজ স্টিম্যাচ। এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ বলেছেন, “গত তিন বছর ধরে, আমরা এই নিয়ে কথা বলার জায়গায় ছিলাম না। তখন আমাদের কাজের উপর বেশি জোর দিতে হয়েছিল। ফুটবলের দিনপঞ্জি নিয়ে বিষয়গুলি পরিষ্কার করতে হবে, যা আজও আইপিএল ও সম্প্রচারের জন্য সমঝোতা করা হচ্ছে। এটিকে থামাতেই হবে যদি আমরা ভারতে ফুটবলকে সেরা করতে চাই।”

ভারতীয় দলের কোচ বলেছেন, “ফুটবল ক্যালেন্ডার নিয়ে সঠিকভাবে চিন্তাভাবনা করাই হয় না। কখন আইপিএল চলবে, তার উপর নির্ভর করেই ঠিক করা হয় বছরের কোন সময়ে কী খেলা হবে। আইপিএল ম্যাচের টিভি সম্প্রচারের দিকেই তাকিয়ে থাকে সকলে।” স্টিমাচের মতে, এইভাবে চললে ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করা সম্ভব নয়। তিনি জানিয়েছেন, “কবে কোন খেলা চলছে, সেই ভিত্তিতে ফুটবল ক্যালেন্ডার তৈরি করা উচিত নয়। ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করতে গেলে এই দৃষ্টিভঙ্গি বন্ধ করতে হবে।” প্রসঙ্গত, এতদিন ধরে আইপিএল ও আইএসএল দু’টি টুর্নামেন্টের টিভি সম্প্রচারের দায়িত্ব একই সংস্থার হাতে ছিল। সেই কারণেই আলাদা সময়ে দু’টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হত।

স্টিমাচ আরও বলেছেন, “অবশ্যই ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট। কিন্তু অন্য কোনও খেলাও যদি জনপ্রিয়তা পায়, তাহলে তো ক্রিকেটের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সেই জন্যই ফুটবলের উন্নতি করতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে ক্রিকেট বোর্ডকেও। ক্রিকেটের কারণে ফুটবলের ক্ষতি হওয়া একেবারেই উচিত নয়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − two =