‘পরবর্তী প্রজন্মকে উৎসাহ দেবে এই জয়’, মহিলা দৃষ্টিহীন ভারতীয় দলের সঙ্গে সাক্ষাতে জানালেন মোদি

বৃহস্পতিবার ভারতের মহিলা দৃষ্টিহীন ক্রিকেট দলের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের ঐতিহাসিক সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কলম্বোতে অনুষ্ঠিত প্রথম ব্লাইন্ড মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে দলটি দেশে ফেরে এবং তারই ধারাবাহিকতায় নয়াদিল্লিতে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনালে নেপালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় ভারতীয় দলের খেলোয়াড়রা প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন তাঁদের স্বাক্ষর করা একটি ব্যাট। এর প্রতিদানে মোদি দলকে উপহার দেন তাঁর স্বাক্ষর করা একটি ক্রিকেট বল। টুর্নামেন্ট জুড়ে দলের সাহস, শৃঙ্খলা ও ধীরস্থির মানসিকতার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এই জয়ে শুধু ইতিহাসই রচিত হয়নি, ভবিষ্যৎ প্রজন্মও অনুপ্রাণিত হবে’। এর আগে প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে দলের সাফল্যকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেন এবং টুর্নামেন্টজুড়ে অপরাজিত থাকার জন্য প্রশংসা জানান।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলের প্রতি প্রশংসা ও অভিনন্দনের জোয়ার দেখা যাচ্ছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেছেন কর্ণাটক ভিত্তিক খেলোয়াড়দের ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার এবং সরকারি চাকরি দেওয়া হবে।
অন্য রাজ্যের খেলোয়াড়রা প্রত্যেকে পাবেন দু’লক্ষ টাকা পুরস্কার। ১৩ জন ক্রিকেটার যাঁরা কর্ণাটকের বাসিন্দা নন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সুবিধা পাবেন, যা দলের প্রতি জাতীয় গর্বের প্রতিফলন।

পুরো প্রতিযোগিতা জুড়েই একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছিল ভারত। ফাইনালে নেপালকে ১১৪/৫,এ আটকে দেওয়ার পর ১৩ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ভারত। ওপেনার ফুলা সারেন মাত্র ২৭ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে দেন। করুণা কে,র ২৭ বলে ৪২ রানের ইনিংস জয়ের পথ আরও সহজ করে দেয়।

ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান সারেন। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ভারত নিজেদের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল। শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর পাকিস্তানের দেওয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্য ১০.২ ওভারেই টপকে যায় দল, যা পুরো প্রতিযোগিতার অন্যতম দাপুটে জয়।
সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ভারত ফাইনালে ওঠে এবং নেপালকে হারিয়ে শিরোপা জেতে। খেলোয়াড়দের কাছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল বিশাল স্বীকৃতি ও উৎসাহের মুহূর্ত। আর দেশের জন্য এটি ছিল এমন এক দলকে উদযাপন করার সুযোগ, যারা ইতিহাস গড়ে মহিলাদের দৃষ্টিহীন ক্রিকেটকে ভারতের ক্রীড়া মানচিত্রে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − eight =