ভারতীয় মেয়েদের এবার কবাডিতে বিশ্বজয়

আবার ভারতীয় মেয়েদের জয়জয়কার। বাইশ গজ পেরিয়ে এবার কবাডিতে‌। দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপ জেতার পরের দিনই আরও একবার বিশ্বসেরা। এবার কবাডির বিশ্বমঞ্চে। বাংলাদেশের মাটিতে চাইনিজ তাইপেকে ৩৫-২৮ ব্যবধানে হারাল ভারতের মহিলা কবাডি দল। পরপর দু’বার বিশ্বজয়। ক্রিকেটের পর কবাডিতেও যে মেয়েরা ভারতসেরা হতে পারে তার একটা আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। গোটা টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে ছিল দল। ফাইনালের পথে সব ম্যাচ জেতে।

সেমিফাইনালে ইরানকে ৩৩-২১ এ হারায়। গোটা টুর্নামেন্টে ভাল ফর্মে ছিল ভারতের প্রতিপক্ষও। কিন্তু ফাইনালের চাপ নিতে পারেনি চাইনিজ তাইপে। সবদিক থেকে তাঁদের টেক্কা দেয় ভারতের মেয়েরা।
জয়ের পর পতাকা উড়িয়ে চলে উচ্ছ্বাস।যা মনে করায় কয়েকদিন আগের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামেকে। কবাডি বিশ্বকাপে মোট ১১টি দেশ অংশ নিয়েছিল। বিশ্বকাপজয়ী দলকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘কবাডি বিশ্বকাপ জিতে দেশকে গর্বিত করার জন্য মেয়েদের কবাডি‌ দলকে অভিনন্দন।

ওরা অসাধারণ দক্ষতা এবং দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে। ওদের এই জয় তরুণ-তরুণীদের কবাডিতে আসতে উৎসাহিত করবে। আরও বেশি স্বপ্ন দেখাতে শেখাবে।’ হরিয়ানা স্টিলার্সের হেড কোচ মনপ্রীত সিং মেয়েদের কবাডি দলের প্রশংসা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘মেয়েদের কবাডি দল যে পারফরমেন্স করেছে, তাতে গোটা দেশ গর্বিত। ওদের নিজেদের প্রতি বিশ্বাস এবং টিমওয়ার্ক অসাধারণ ছিল। ভারতের প্রাক্তন প্লেয়ার হিসেবে আমি জানি এই জায়গায় পৌঁছনো কতটা কঠিন। প্লেয়ার এবং স্টাফদের অভিনন্দন।’
পুনেরি পল্টনের হেড কোচ অজয় ঠাকুরও উচ্ছ্বসিত।

তিনি বলেন, ‘ঢাকায় বিশ্বকাপ ধরে রেখেছে ভারত। ভারতের জন্য এটা গর্বের মুহূর্ত। ফাইনাল পর্যন্ত আধিপত্য নিয়ে খেলেছে। তারপর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এটাই প্রমাণ করছে বিগত কয়েক বছরে ভারত কবাডিতে কতটা এগিয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চেও এই খেলা এগিয়েছে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আয়োজনই তার প্রমাণ। আশা করব এই মোমেন্টাম অব্যাহত থাকবে।’ এবছর ১১টি দল বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছে। অন্যান্য বছরের থেকে যা বেশি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে যে কবাডির প্রসার বাড়ছে, এটাই তার প্রমাণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − eleven =