দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের এক দিনের সিরিজ়কে সামনে রেখে দল ঘোষণা করল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। শুভমন গিলের অনুপস্থিতিতে দলের নেতৃত্ব দেবেন লোকেশ রাহুল। প্রায় দু’বছর পর আবার ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে দেখা যাবে তাঁকে। শেষ বার ২০২৩ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডে সিরিজ়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহুল। সেই অভিজ্ঞতা এবার আবার কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
গিলের চোট এখনও পুরোপুরি সারেনি, ফলে তাঁকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। হার্দিক পান্ডিয়াকে দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়নি। চোটের পরে এখনও তিনি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে পুরোপুরি প্রস্তুত নন। তাই নির্বাচকরা ঝুঁকি নেননি। পাশাপাশি বোলিং আক্রমণের দুই প্রধান স্তম্ভ জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজকেও বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ক্রিকেটারদের খেলার চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছে বোর্ড।
দীর্ঘ মরশুমের মধ্যে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও নজর দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করছে বিসিসিআই। এই সিরিজে তরুণদের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। উদীয়মান প্রতিভাদের সুযোগ করে দিতে একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। তবে দলে আছেন দ্রাবিড়-কোহলির যুগলের অপরিহার্য দু’জন— বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁদের উপস্থিতি দলে শক্তি ও অভিজ্ঞতার ভারসাম্য বজায় রাখবে। দুই সিনিয়রের উপস্থিতি তরুণ ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বলেই আশা করা হচ্ছে। বাংলার পেসার মহম্মদ শামির নাম আবারও ওয়ানডে দলে নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে চোট এবং ছন্দের ওঠানামার কারণে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে টেস্টের প্রধান অস্ত্র হিসেবে তাঁকে ধরে রাখার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে বোর্ড। সব মিলিয়ে বড় তারকা, উদীয়মান প্রতিভা এবং রাহুলের প্রত্যাবর্তনের মিশেলে দারুণ ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামবে ভারত। সিরিজ়টি ২০২৫ বিশ্বকাপের আগে বেঞ্চ স্ট্রেংথ পরখ করার সুযোগ এনে দেবে নির্বাচন কমিটিকে। রাহুলের নেতৃত্বে তরুণ ব্রিগেড কতটা প্রস্তুত— তা-ই এবার নজর কাড়বে ক্রিকেটবিশ্বের।

