অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে অজিদের নেতৃত্বে অভিজ্ঞ স্মিথ, দল ঘোষণা ইংল্যান্ডেরও !

২১ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ও ঐতিহ্যশালী অ্যাশেজ সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের এই মরশুমের প্রথম টেস্ট বসতে চলেছে পারথের বাউন্স-সহায়ক উইকেটে। টেস্ট শুরুর একদিন আগেই প্রথম একাদশ ঘোষণা করে দিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। চোটের কারণে প্যাট কামিন্স যে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারবেন না, তা কয়েক দিন আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ফলে নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ স্টিভ স্মিথের কাঁধে। টেস্ট ক্রিকেটে আবারও অজি সেনাপতির ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।

এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশে জায়গা পেয়েছেন দুই নতুন মুখ— তরুণ পেসার ব্রেন্ডন ডগেট এবং ব্যাটার জ্যাক ওয়েদারল্যান্ড। দুজনেই পারথে অভিষেক করতে চলেছেন। ওপেনিং পজিশনে উসমান খাওয়াজার সঙ্গে জুটি বাঁধবেন ডানহাতি ব্যাটার ওয়েদারল্যান্ড। তিন নম্বরে ক্রিজে নামবেন ‘অজি রানমেশিন’ মার্নাস লাবুশেন। দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটছে তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারের অন্যতম স্তম্ভ লাবুশেনকে ফিরে পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসী স্মিথ। তিনি বলেছেন, “তিন নম্বরে নেমে মার্নাস গত কয়েক বছরে অস্ট্রেলিয়াকে সবচেয়ে বেশি স্থিরতা দিয়েছে। ওকে ছাড়া এই ব্যাটিং অর্ডার কল্পনাই করা যায় না। শিল্ড এবং কুইন্সল্যান্ডের হয়ে সাম্প্রতিক ফর্ম সত্যিই অসাধারণ।

ও যখন ছন্দে থাকে, তখন তাকে থামানো অত্যন্ত কঠিন।” চারে নামবেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, পাঁচে ট্রাভিস হেড। মিডল অর্ডারে ভারসাম্য রক্ষায় একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে খেলবেন ক্যামেরন গ্রিন। উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসেবে দলকে সামলাবেন অভিজ্ঞ অ্যালেক্স ক্যারি। বোলিং বিভাগে তিন পেসার— মিচেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড এবং ডগেট। একমাত্র স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে থাকছেন নাথান লিঁয়, যিনি অ্যাশেজে ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে অতীতে বারংবার ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে ইংল্যান্ড শিবিরেও রয়েছে চোট সমস্যা। দলের নিয়মিত পেসার জশ হ্যাজেলউডের মতোই তাঁরা পাচ্ছে না প্যাট কামিন্সকে।

ইংল্যান্ডের নেতৃত্বে থাকছেন বেন স্টোকস, যিনি অ্যাশেজে বরাবরই আগ্রাসী মানসিকতার জন্য পরিচিত। দুই দলের ব্যাটিং ও বোলিং লাইন-আপের দিকে তাকালে বোঝা যায়, লড়াই হবে কড়া এবং হাড্ডাহাড্ডি। পারথের উইকেট সাধারণত পেসারদের সহায়ক হলেও প্রথম দিন থেকেই ব্যাটসম্যানেরা বাউন্স সামাল দিতে না পারলে সমস্যা বাড়তে পারে। প্রথম ম্যাচ থেকেই অ্যাশেজে দাপট দেখাতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য প্রথম টেস্টে জয় তুলে নিয়ে চাপ তৈরি করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − 11 =