নিয়মিত ঘাড়ের সমস্যায় ভুগে আবারও বড় বিপদে পড়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক শুভমন গিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইডেনে প্রথম টেস্ট চলাকালীন আচমকাই তীব্র ব্যথা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। ম্যাচ চলা অবস্থায়ই তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
অসুস্থতার কারণে মাঝপথেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন গিল এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলান ঋষভ পন্থ। ভারতীয় শিবিরের মধ্যে তখনই চাপা উৎকণ্ঠা তৈরি হয় অধিনায়কের শারীরিক অবস্থা নিয়ে। হাসপাতালে তাঁকে আইসিইউ-তে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুভমনের ইন্টার স্পাইনাস লিগামেন্ট ইনজুরি হয়েছে। ঘাড়ের ডিস্ক সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় ব্যথা বারবার বাড়ছে এবং পেশিতে পর্যাপ্ত শক্তি ও নমনীয়তা থাকছে না। তাই সামান্য চাপ বা নড়াচড়াতেও তীব্র যন্ত্রণা দেখা দিচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা তাঁকে বিব্রত করে আসছে এবং এবার পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ভারতীয় দলের কাছে স্বস্তির বিষয় হচ্ছে—রবিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শুভমনকে। তাঁকে গলায় নেক কলার পরে থাকতে বলা হয়েছে এবং আপাতত বিশ্রামই তাঁর চিকিৎসার প্রধান নির্দেশ। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নেক কলার পরে গাড়িতে চাপিয়েই টিম হোটেলের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
চিকিৎসকদের নির্দেশ অনুযায়ী এখন তাঁকে নিয়মিত থেরাপি ও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, যাতে ঘাড়ের গতিশীলতা ধীরে ধীরে ফিরে আসে। রবিবার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতেই হাসপাতালে যান প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি গিলের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং কিছু সময় কথা বলেন ভারত অধিনায়কের সঙ্গে। শোনা গেছে, দুজনের আলোচনায় চলতি টেস্ট সিরিজের প্রসঙ্গও ওঠে। তবে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সৌরভের জানা মত, পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ মাত্র ৪ দিন পরে, ২২ নভেম্বর গুয়াহাটিতে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।
ডাক্তারদের মতে শুভমনের ঘাড়ের ইনজুরি সম্পূর্ণ সেরে ওঠার জন্য আরও সময় লাগবে। ফলে গুয়াহাটিতেও দল তাকে পাচ্ছে না । ভারতীয় দল অবশ্য অধিনায়ককে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে তবেই মাঠে ফেরানোর পক্ষেই। দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শুভমনের দ্রুত আরোগ্য ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য।

