শুক্রবার থেকে শুরু টেস্ট। মঙ্গলবার কালীঘাটে পুজো দিতে যেতে পারেন তিনি। তার আগে বোর্ডের ওয়েবসাইটে গম্ভীর বলেছেন, শুধু ব্যাটিংয়েই নয়, বোলিংয়েও আগ্রাসন চান তিনি। অভিষেক শর্মারা ব্যাট করতে নেমেই ঝড় তুলছেন। গম্ভীর বুঝিয়ে দিয়েছেন, বোলিংয়েও ওরকম আক্রমণাত্মক মানসিকতা চান তিনি।
বুমরাকে শুরুতেই তিন ওভার বল দেওয়া কেন আগ্রাসনের অঙ্গ সে সম্পর্কে গম্ভীরের ব্যাখ্যা, আমরা দেখতে চাই ব্যাপারটা কেমন হচ্ছে। ভবিষ্যতে আমাদের দলের কৌশল ঠিক করতেও সেটা সাহায্য করবে। এশিয়া কাপে এই কৌশল ভালই কাজ করেছে। বেশির ভাগ ম্যাচেই পাওয়ার প্লে আমরা কাজে লাগাতে পেরেছি।
গম্ভীরের সংযোজন, মাঝের দিকে উইকেট নেওয়ার জন্য বরুণ এবং কুলদীপ তো রয়েছেই। শুরুটা ভাল হলে ওরা স্বাধীনভাবে মাঝের ওভারগুলোতে বল করতে পারে। ফলে গোটা ম্যাচ জুড়ে উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা তৈরি হবে আমাদের। এটা আগ্রাসী কৌশল তো বটেই। অতীতে বহু বার দলে ছ’জন বোলার থাকার ব্যাপারে ভেবেছি। এই টি–টোয়েন্টি দলটায় সাত–আট জন বল করতে পারে। বছরের পর বছর ধরে আমরা এমন ক্রিকেটার খুঁজে গিয়েছি যে দু’ওভার বল করে দিতে পারে। সেটা টি–টোয়েন্টি হোক বা ৫০ ওভারের ম্যাচ। এখন এমন বোলারদের তৈরি করার চেষ্টা চলছে যারা মাঝের দিকে ব্যাট করতে পারে, আবার দরকারে বলও করে দিতে পারে।
এরকমই দুই ক্রিকেটার হলেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং অক্ষর প্যাটেল। গম্ভীরের আশা, বিশ্বকাপে দু’জনেই ভাল খেলবেন। শুধু উপমহাদেশের ক্রিকেটে নয়, ওরা যে মানের ক্রিকেটার তাতে বেশির ভাগ জায়গাতেই সফল হবে। গত সাত–আট মাসে ভারতের সাফল্যের পিছনে অনেকাংশে দায়ী ওয়াশির বোলিং। অক্ষর পাঁচে ব্যাট করে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করেছে। কঠিন ওভার বল করেছে।

