ভারতবর্ষের বুকে বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে যে কজন ছাপ রেখে গিয়েছেন তাদের তালিকায় ওপর দিকেই থাকবেন রয় কৃষ্ণ। ফিজির স্ট্রাইকার নিজেকে ভারতীয় বলেই মনে করেন। মোহনবাগান সমর্থকদের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। ব্যারেটো, ওডাফা, সনি নর্ডি, বেইতিয়ার পর সবুজ মেরুন নায়ক হিসেবে বন্দিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মোহনবাগান এখন তার জীবনে অতীত। এই নিয়ে দুঃখ এবং অভিমান রয়েছে কৃষ্ণর।
২০১৯-২০ সালে আইএসএলে যাত্রা শুরু রয় কৃষ্ণের। নিজের প্রথম মরশুমেই সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে ১৫টি গোল করে এটিকে-কে তৃতীয় আইএসএল জেতান তিনি। পরের মরশুমে এটিকে ও মোহনবাগান গাঁটছড়া বাঁধলে কৃষ্ণের সবুজ-মেরুন সফর শুরু হয়। তিনি ওই মরশুমেও আবার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১৪) হন। তবে এবার যুগ্ম ভাবে। কৃষ্ণের কাঁধে চেপে এটিকে মোহনবাগান ফাইনালে গেলেও খেতাব জেতা হয়নি। গত মরশুমে অবশ্য কৃষ্ণকে স্বাভাবিক ছন্দে দেখা যায়নি। চোট আঘাতের জেরে নিজের সেরা দিতে পারেননি তিনি। জুয়ান ফেরান্দোকে নিয়ে রয় মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না, সেটা তাঁর কথায় পরিষ্কার। তবে তিনি তাঁর পুরনো কোচ হাবাসকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। রয় বলেছেন, আমি দু’জনের (হাবাস এবং ফেরান্দো) থেকে অনেক কিছু শিখেছি এবং দু’জনকেই সম্মান করি।
তবে আমি হাবাসের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়তাম। কারণ তার সাফল্য বেশি এবং আমি ওর সঙ্গে আড়াই মরশুম কাজ করেছি। এবং আমি গত কয়েক মাস ধরে জুয়ানকে চিনি। আমার কাছে হাবাস ছিলেন একজন বাবার মতো। তিনি আমাকে সাহায্য করেছিলেন, আমাকে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনে সজরে ধাক্কা দিয়েছেন এবং আমি আমার প্রথম সিজনেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এ
বং দ্বিতীয় মরশুমে আমরা ফাইনালে গিয়েছিলাম। তবে রয় এই চ্যাপ্টার ভুলে এগিয়ে যেতে যান। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি ফুটবলেরই অংশ – আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। এবার একজন নতুন কোচ এসেছেন এবং সব কিছু বদলে গেছে। তবে ম্যানেজমেন্টকে আমি যথেষ্ট ধন্যবাদ জানাতে পারি, যারা প্রথম সিজনে যখন আমি ওখানে যাওয়ার পর সাহায্য করেছিল। আপাতত তিনি ভারতে ফিরবেন কিনা নিশ্চয়তা নেই। পরিবার চাইছে রয় কৃষ্ণ অস্ট্রেলিয়াতে খেলুন। কিন্তু আইএসএলের তিনটি ক্লাবের প্রস্তাব রয়েছে তার কাছে। কি করবেন সেটা পরিষ্কার নয়।