উইকেটহীন শামি দুরন্ত ভাই কাইফ, তবুও হনুমা বিহারীর দেওয়ালে আটকে বাংলা !

বাংলা বনাম ত্রিপুরা ম্যাচ এখন এক অদ্ভুত জায়গায় দাঁড়িয়ে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হতেই প্রশ্ন উঠেছে— বাংলা কি তিন পয়েন্ট পাবে? কারণ, ত্রিপুরার ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছেন হনুমা বিহারি। বাংলার বোলাররা দিনভর চেষ্টা করেও তাঁকে ফেরাতে পারেননি। দিনের শেষে তিনি অপরাজিত সেঞ্চুরি করে দলকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। ত্রিপুরার স্কোর ৭ উইকেটে ২৭৩, বাংলার ৩৩৬ রানের জবাবে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার লড়াই এখন দুই দলের মূল লক্ষ্য।

দিনের শুরুটা বাংলার জন্য হতাশার। ৯ উইকেটে ৩৩৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল অভিষেক পোড়েলের দল। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় বলেই শাহবাজ আহমেদ আউট হন মণিশঙ্কর মুরাসিংহের বলে। ফলে আর কোনও রান যোগ না করেই ইনিংস শেষ হয়। ত্রিপুরার হয়ে মুরাসিংহ ও রানা দত্ত নেন ৩টি করে উইকেট। বিক্রমকুমার দাস ২টি এবং অভিজিৎ সরকার ও স্বপ্নিল সিং ১টি করে উইকেট ভাগ করে নেন।

জবাবে ত্রিপুরা শুরুতেই ধাক্কা খায়। মহম্মদ কাইফের আগুনে স্পেলে মাত্র ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মুরারিসিংহের দল। কিন্তু সেই জায়গা থেকে লড়াই শুরু হনুমা বিহারির। পরিচিত ধৈর্য ও দৃঢ়তায় তিনি একা হাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রথমে সেন্টু সরকারের সঙ্গে ছোট পার্টনারশিপ, এরপর বিজয় শঙ্করের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়ে ম্যাচে ফেরা। বিজয় ৩৪ রানে আউট হলেও অধিনায়ক মুরারিসিংহকে সঙ্গে নিয়ে আরেকটি ৭৩ রানের পার্টনারশিপে দলকে স্থিতিশীলতা দেন।

বাংলার হয়ে কাইফ নিয়েছেন ৪ উইকেট, ঈশান পোড়েল, শাহবাজ আহমেদ ও রাহুল প্রসাদ প্রত্যেকে পেয়েছেন একটি করে উইকেট। তবে সবচেয়ে হতাশাজনক পারফরম্যান্স মহম্মদ শামির— ১৯ ওভার বল করেও তিনি কোনও উইকেট পাননি। বৃষ্টির কারণে প্রথম দুই দিন যথেষ্ট সময় নষ্ট হওয়ায় ম্যাচের ফলাফল বেরনোর সম্ভাবনা খুবই কম।

তবুও আশা ছাড়ছে না বাংলা। শেষ দিনে যদি সকালে দ্রুত ত্রিপুরার শেষ তিনটি উইকেট ফেলা যায় এবং লিড বজায় রাখা সম্ভব হয়, তবে ৩ পয়েন্ট পাওয়া যাবে। কিন্তু বিপরীতে যদি হনুমা বিহারি ও মুরারিসিংহ আরও কিছুক্ষণ টিকে যান, তবে সমীকরণ পাল্টে যাবে। ম্যাচের দিক এখন অনিশ্চিত— কে পাবে লিড, কে পাবে পয়েন্ট, তা নির্ভর করছে শেষ দিনের সকাল সেশনের উপরেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =