সুদীপের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও কি ত্রিপুরা ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট পেতে ব্যর্থ হবে বাংলা ?

রনজি ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে ত্রিপুরার বিরুদ্ধে লড়ছে বাংলা। প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়ে যায় নির্ধারিত সময়ের আগেই, কারণ খারাপ আলোয় মাঠে খেলা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দিনেও স্বস্তি মেলেনি—বারবার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়, ফলে পূর্ণ দিনের খেলা সম্ভব হয়নি। তবুও সীমিত সময়ের মধ্যেই ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেন বাংলার দুই ব্যাটার—সুদীপ ঘরামি ও শাকির হাবিব গান্ধী। তাদের জুটি দ্বিতীয় দিনে দলের ভিত আরও মজবুত করে।

বাংলা দল ১৭১/১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে। শাকির ও সুদীপের সামনে ছিল বড় রান গড়ার সুযোগ। দু’জনই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলা শুরু করেন। শাকির সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেও মাত্র পাঁচ রানের জন্য আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন। ৯৫ রানের ইনিংসে তিনি দলকে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে এনে দেন। বাংলার রান তখন ২১৩/২। এরপর দায়িত্ব নেন সুদীপ ঘরামি। ধৈর্য ও স্থিরতায় ভর করে তিনি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর ইনিংসটি ছিল অত্যন্ত সংযমী—২৫০ বল খেলে ১৫টি চারসহ ১০৮ রানে আউট হন তিনি।

তবে সুদীপের আউটের পরই দলের ইনিংসে ধস নামে। অনুষ্টুপ মজুমদার (৬), অভিষেক পোড়েল (১১) ও সুমন্ত গুপ্ত (৫) প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। একসময় ২৬২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলা। সেখান থেকে ইনিংসকে ভরসা দেন শাহবাজ আহমেদ ও উইকেটরক্ষক রাহুল প্রসাদ। দু’জনে মিলে ৬১ রানের একটি মূল্যবান জুটি গড়েন। এই পার্টনারশিপই বাংলাকে আংশিকভাবে উদ্ধার করে। রাহুল প্রসাদ ৩৫ রানে আউট হলেও শাহবাজ লড়াই চালিয়ে যান। কিন্তু শেষের দিকে তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি বাকি ব্যাটাররা—মহম্মদ কাইফ (০) ও মহম্মদ শামি (৫) দ্রুত আউট হয়ে যান।

বাংলার ইনিংস শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ৩৩৬ রানে, এরপরই বৃষ্টির কারণে দিনের খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ত্রিপুরার বোলারদের মধ্যে রানা দত্ত ছিলেন সবচেয়ে সফল, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন তিনি। বিক্রমকুমার দাস ও মণিশঙ্কর মুরাসিংহ নেন দুটি করে উইকেট। এছাড়া অভিজিৎ সরকার ও স্বপ্নিল সিং ভাগ করে নেন একটি করে উইকেট।

দ্বিতীয় দিনের শেষে বলা যায়, বাংলা ভালো অবস্থানেই আছে, তবে শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারানো তাদের চিন্তার বিষয়। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তাহলে পরের দিন প্রথম সেশনেই বাংলার লক্ষ্য হবে ৩৫০ পেরিয়ে ইনিংস ঘোষণা করা এবং ত্রিপুরাকে বড় রানের চাপের মুখে ফেলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − four =