গোলশূন্য ড্র করে সুপার কাপের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

গোয়ার ফতোর্দা স্টেডিয়ামে সুপার কাপে শুরু থেকেই ‘অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল’ ছিল। শেষমেশ নিজেদের এগিয়ে থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ম্যাচ ড্র করে সুপার কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছল ইস্টবেঙ্গল। জয় পেল না কোনও শিবিরই। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেও উচ্ছ্বাসে ভাসল ইস্টবেঙ্গল ডাগআউট। মোহনবাগানে হতাশা, ডার্বি জয় তো হলই না। সুপার কাপ থেকেও বিদায় নিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

খেলার শুরুতেই আক্রমণে যায় ইস্টবেঙ্গল। অনিরুদ্ধ থাপার থেকে বল কেড়ে রাকিপ পাস দেন মিগুয়েলকে। বাঁ পায়ে নেওয়া মিগুয়েলের শট প্রতিহত হয়। ৬ মিনিটে ডানদিক থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেন মহেশ। লিস্টন আটকে দেন। ১০ মিনিটে রশিদের শট বাগান গোলকিপার বিশাল বাঁচিয়ে দেন। প্রথম ১৫ মিনিট ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না মোহনবাগানকে। ২৪ মিনিটে বড় সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ডানদিকে বাঁ পায়ে বক্সে বল ভাসিয়ে দেন মিগুয়েল। উড়ন্ত বলে হেড করেন বিপিন, বল পোস্টে লাগল। ২৮ মিনিটে ক্রেস্পোর ক্রসে মহেশের শট গোলের বাইরে বেরিয়ে যায়। রেফারির সঙ্গে তর্ক করতে গিয়ে অহেতুক হলুদ কার্ড দেখলেন মহেশ, মিগুয়েল এবং মোহনবাগানের শুভাশিস। ৪০ মিনিটে সুযোগ পায় মোহনবাগান শুভাশিসের পাস পেয়ে বক্সের বাইরে থেলে আপুইয়ার শট লাল-হলুদ গোলকিপার প্রভসুখন গিলের হাতে জমা পড়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আগ্রাসী ফুটবল খেলে মোহনবাগান। ৬১ মিনিটে পরপর দুটি সু্যোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ ইস্টবেঙ্গল। বক্সের ভেতর থেকে হামিদের শট বিশালের হাতে জমা পড়ে। বিশাল চাপড় দিয়ে তা গোলের বাইরে বার করে দিলেন। পরের মিনিটেই জয়ের হেড বাঁচালেন বিশাল। ৭৮ মিনিটে তিন বদল করলেন মোহনবাগান কোচ জোসে মোলিনা। রবসন, পেত্রাতোস এবং টাংরিকে নামালেন। তবে লাভের কিছুই হয়নি। ম্যাচের আগে রবসনকে আলিঙ্গন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে রবসন ছাত্র ছিলেন অস্কারের, সেই সুবাদেই সৌজন্য। তবে ম্যাচ শেষে আর দুই শিবিরে তেমন সৌজন্য দেখা গেল না। দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হল। ধাক্কাধাক্কি হয় ফুটবলারদের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + eleven =