অবিশ্বাস্য , অসামান্য , অভূতপূর্ব , সমস্ত বিশেষণ শেষ হয়ে গেলেও অজিদের বিরুদ্ধে ভারতের এই জয় যেন বর্ণনা করা যাবে না । ভারতীয় ব্যাটাররা মাঠে নামার আগে ক্রিকেটের অনেক বড় ভক্তরাও হয়তো ভেবেছিল বিশাল রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া সহজেই ম্যাচ জিতে নেবে। কিন্তু ইতিহাস বলেছে, ভারতীয় মেয়েরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই ছাড়ে না
সেই দৃশ্যই দেখা গেল আবার। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ক্রান্তি গৌড়ের বলে মাত্র ৫ রানে আউট হন অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। কিন্তু এরপর ফোবি লিচফিল্ড এবং অভিজ্ঞ এলিসি পেরি মিলে ভারতীয় বোলারদের উপর ঝড় তোলেন। দুই ব্যাটার মিলে ১৫৫ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত ভিত দেন। লিচফিল্ড ৯৩ বলে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ১৭টি চার ও ৩টি ছয়। পেরি যোগ করেন মূল্যবান ৭৪ রান। শেষের দিকে গার্ডনারের দ্রুত ৬৩ রানে অজিরা পৌঁছে যায় ৩৩৮ রানে। ভারতের হয়ে শ্রী চরণী পান ২টি উইকেট, ক্রান্তি গৌড়, রাধা যাদব, আমনজ্যোত কৌর প্রত্যেকে একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন। শেষ ওভারে দীপ্তি শর্মা দুটি উইকেট তুলে নেন। ৩৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই বিপাকে পড়ে।
ওপেনার শেফালি ভার্মা মাত্র ১০ রানে আউট হন। এই সময়ে অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউর ও জেমাইমা রডরিগেজ গড়ে তোলেন গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ। হরমনপ্রীতের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে স্থিতি দেয়। দীপ্তি শর্মা ১৭ বলে ২৪ রান করে রানআউট হলেও দলের গতিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারেননি। অন্য প্রান্তে জেমাইমা রডরিগেজ খেলে যান অনবদ্য ইনিংস। ৮২ রানে একটি ক্যাচ থেকে বেঁচে যান তিনি, কিন্তু এরপর আর কোনও ভুল করেননি। রিচা ঘোষ (২৬) ও পরে আমনজ্যোত কৌরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেন। অপরাজিত ১২৭ রানে (১৪টি চার) শেষ করেন ইনিংস। ভারতের মেয়েরা ৩৪০ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় এবং ফাইনালের টিকিট পেয়ে যায়। এই জয় প্রমাণ করে দিল, ক্রিকেটে শেষ বল না ফেলা পর্যন্ত কিছুই শেষ নয়।

