টানা তৃতীয়দিন ইডি-র জেরা রাহুলকে, কংগ্রেস দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দলীয় সমর্থকদের

ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় টানা তৃতীয় দিন ইডির জেরার মুখোমুখি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ছাড়ার আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়ে দিয়েছিল বুধবারও ফের আসতে হবে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে। এদিকে এদিন কংগ্রেস সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন দলীয় সমর্থকরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের আটক করে পুলিশ বাসে তুলে দেয়। ধাক্কাধাক্কিতে দপ্তরের সামনে ব্যারিকেড ভেঙে যায়।

রাহুল গান্ধিকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাজধানীতে। সোম ও মঙ্গলবারের পর বুধেও রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী সংস্থা। প্রতিবাদে ফের গর্জে উঠলেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেসের সদর দপ্তরে ঢুকে কর্মীদের মারধর করছে পুলিশ, এমন অভিযোগ করেছেন সাংসদ অধীর চৌধুরী। এই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের হত্যা’ বলে বর্ণনা করেছেন বহরমপুরের সাংসদ। অভিযোগ, কংগ্রেস কার্যালয়ের সমস্ত প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার সকাল ১১টা ৩৫ মিনিট নাগাদ ইডি দপ্তরে পৌঁছন সনিয়া-পুত্র। গত দু’দিন ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। এই ঘটনায় উত্তাল জাতীয় রাজনীতি। মঙ্গলবার প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে আর্থিক তছরুপের আইনের আওতায় রাহুলের রেকর্ড বয়ান করা হচ্ছে বলে খবর। দ্বিতীয় দিন ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের পর বোন প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে সনিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান রাহুল। করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।

রাহুলকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের বিরোধিতায় অধীর চৌধুরী, কে সি বেণুগোপাল, ভূপেশ বাঘেল, অজয় মাকেন, গৌরব গগৈয়ের মতো কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা সে দলের সদর দপ্তরের বাইরে ‘সত্যাগ্রহ’ কর্মসূচি পালন করছেন। বিজেপি ও পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগানও দেন। কংগ্রেস কার্যালয় কার্যত ঘিরে রেখেছেন ওই নেতারা। অধীর বলেন, ‘ওরা (পুলিশ) আমাদের কার্যালয়ে ঢুকেছে। কোনও দিন ওরা আমাদের বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার চালাবে। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 12 =