ইতিহাসের পৃষ্ঠায় ২৪ অক্টোবর : ঐক্য ও শান্তির প্রতীক ‘ওয়ার্ল্ড ইউনাইটেড ডে’

প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর “ওয়ার্ল্ড ইউনাইটেড ডে” বা জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই দিনটি ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘের (United Nations) সনদ কার্যকর হওয়ার বার্ষিকীর প্রতীক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যখন পৃথিবী শান্তি ও স্থিতিশীলতার সন্ধানে ছিল, তখন মানবজাতিকে একটি অভিন্ন মঞ্চ দেওয়ার লক্ষ্যে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

এই দিনটি উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো মানুষকে জাতিসংঘের উদ্দেশ্য, সাফল্য এবং বৈশ্বিক অবদানের বিষয়ে সচেতন করা। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে বিশ্বের বড় বড় সমস্যা — যুদ্ধ, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন বা মানবাধিকার — কেবল পারস্পরিক সহযোগিতা ও ঐক্যের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব।

জাতিসংঘ দিবসের তাৎপর্য এই যে এটি সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রকে এক মঞ্চে নিয়ে আসে, যেখানে শান্তি, উন্নয়ন ও মানবতার স্বার্থে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই দিনটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের দিকে প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করে।

ওয়ার্ল্ড ইউনাইটেড ডে আমাদের এই বার্তা দেয় যে যখন সমগ্র পৃথিবী একসঙ্গে দাঁড়ায়, তখন কোনো চ্যালেঞ্জই অসম্ভব থাকে না। এই দিনটি মানবতা, সহযোগিতা ও বৈশ্বিক ঐক্যের চেতনাকে স্যালুট করার প্রতীক।


গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপঞ্জি

১৫৭৭ – চতুর্থ শিখ গুরু রামদাস অমৃতসর শহর প্রতিষ্ঠা করেন, শহরের নাম রাখা হয়েছিল পুকুর ‘অমৃত সরোবর’-এর নামে।
১৫৭৯ – জেসুইট পাদ্রী এস. জে. থমাস ভারত আগত প্রথম ইংরেজ ছিলেন, তিনি পর্তুগিজ জাহাজে করে গোয়ায় পৌঁছেছিলেন।
১৬০৫ – মোগল শাসক জাহাঙ্গীর আগ্রায় সিংহাসনে বসেন।
১৬৫৭ – কল্যাণ ও ভিওয়ান্ডি শাসনের অধীনে আসে।
১৮৬১ – সান ফ্রান্সিসকো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় টেলিগ্রাম পাঠানো হয়।
১৯২৯ – “কালো বৃহস্পতিবার” নামে পরিচিত মার্কিন শেয়ারবাজার ধস শুরু হয়, যা মহামন্দার কারণ হয়।
১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির এক মাস পরই বিশ্বে শান্তি স্থাপনের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ (UNO) প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৫ – এই দিনটি জাতিসংঘ সনদের কার্যকর হওয়ার বার্ষিকীর প্রতীক, যা “ওয়ার্ল্ড ইউনাইটেড ডে” বা জাতিসংঘ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
১৯৪৬ – প্রথমবার রকেটের মাধ্যমে পৃথিবীর মহাকাশ থেকে ছবি তোলা হয়।
১৯৪৭ – পাকিস্তানি উপজাতিরা জম্মু ও কাশ্মীরে আক্রমণ করে।
১৯৪৮ – বার্নার্ড বারুচ প্রথমবার “শীতল যুদ্ধ” শব্দটি ব্যবহার করেন।
১৯৭৫ – বন্ডেড লেবার বা বন্ধকী শ্রমিক প্রথা বিলোপের জন্য এক অধ্যাদেশ জারি হয় এবং পরদিন থেকে তা কার্যকর হয়।
১৯৮২ – सुधা माधवन ম্যারাথনে দৌড়ানো প্রথম ভারতীয় মহিলা অ্যাথলেট হন।
১৯৮৪ – কলকাতায় এসপ্ল্যানেড ও ভবানীপুরের মধ্যে প্রথম মেট্রো (আন্ডারগ্রাউন্ড) ট্রেন চালু হয়।
২০০০ – দক্ষিণ কোরিয়া দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা না করার ঘোষণা দেয়।
২০০১ – নাসার “২০০১ মার্স ওডিসি” সফলভাবে মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে।
২০০৩ – সুপারসনিক যাত্রীবাহী বিমান ‘কনকর্ড’ তার শেষ উড়ান সম্পন্ন করে।
২০০৪ – ব্রাজিল প্রথম সফলভাবে মহাকাশ রকেট উৎক্ষেপণ করে।
২০০৫ – নিউজিল্যান্ড ও ভারত নতুন বিমান পরিষেবা চুক্তিতে সম্মত হয়।


জন্ম

১৯৭৪ – অনুরাগ ঠাকুর — বিশিষ্ট ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা।
১৯৭২ – মল্লিকা শেরাওয়াত — হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৪০ – কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন — ভারতের বিখ্যাত মহাকাশ বিজ্ঞানী।
১৯৩৬ – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় — বাংলা ভাষার ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার।
১৯২১ – আর. কে. লক্ষ্মণ — বিখ্যাত কার্টুনিস্ট।
১৯১৫ – জীবন — হিন্দি চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা।
১৯১৪ – লক্ষ্মী সাহেগল — স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজসেবী।
১৯১১ – অশোক মেহতা — ভারতের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজতান্ত্রিক নেতা ও চিন্তাবিদ।
১৮৮৪ – প্রেমনাথ ডোগরা — জম্মু ও কাশ্মীরের নেতা।
১৭৭৫ – বাহাদুর শাহ জাফর — মোগল সাম্রাজ্যের শেষ বাদশাহ।


মৃত্যু

২০০০ – সীতারাম কেশরী — ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিক।
১৯৯৬ – গ্ল্যাডউইন জেব — জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব নির্বাচনের আগে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
১৯৯১ – ইসমত চুগতাই — ভারতের বিখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক।
১৯৫৪ – রফি আহমেদ কিদওয়াই — স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনীতিবিদ।
২০০৬ – ধর্মপাল — মহান গান্ধীবাদী, চিন্তাবিদ, ইতিহাসবিদ ও দার্শনিক।
২০১৩ – মান্না দে — ভারত সরকার ২০০৫ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করে।
২০১৭ – গিরিজা দেবী — বিখ্যাত ঠুমরি গায়িকা।
২০০৫ – টি. এস. মিশ্র — আসামের প্রাক্তন রাজ্যপাল।


গুরুত্বপূর্ণ দিবস

  • বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস।
  • বিশ্ব পোলিও দিবস।
  • ওয়ার্ল্ড ইউনাইটেড ডে (জাতিসংঘ দিবস)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 11 =