প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সমর্থকদের ক্ষোভ সমস্ত কিছুর জবাব ট্রফি জিতেই দিতে হবে, যেন এমনটাই প্রতিজ্ঞা নিয়ে যুবভারতীতে নেমেছিলেন আপুইয়া-সাহালরা। শনিবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ২১ তম আইএফএ শিল্ড জিতল মোহনবাগান। নির্ধারিত সময় ১-১ স্কোর থাকার পর টাইব্রেকারে ম্যাচ শেষ হল ৪-৫ গোলে। টাইব্রেকারের জন্য গোলকিপার বদল করল ইস্টবেঙ্গল। গোটা ম্যাচে ভালো খেলে আসা প্রভসুখন সিংকে তুলে নামানো হল দেবজিৎ মজুমদারকে। শেষ শটে ইস্টবেঙ্গলের জয় গুপ্তা নিরাশ করল। দুর্দান্ত ভাবে বল বাঁচিয়ে দেন বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথ।
ম্যাচের শুরু থেকেই মোহনবাগান রক্ষণকে চাপে রেখেছিল ইস্টবেঙ্গল। মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়ে যায় মোহনবাগানও। ম্যাচের ৭ মিনিটে জেমি ম্যাকলারেনের শট ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার গিল বাঁচিয়ে দেন। ৯ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত প্রয়াস হামিদের। সেই শট গোলকিপার বিশাল সামনে এসে বাঁচিয়ে দেয়। ১৮ মিনিটে মহেশের জোড়ালো শট বিশাল বাঁচিয়ে দেন। ৩০ মিনিটে বক্সের ভিতর ম্যাকলারেনকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন আনোয়ার আলি। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি পেয়েও বড় সুযোগ হাতছাড়া বাগানের। জেসন কামিংসের হতাশাজনক শট পোস্টের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে গিয়ে পড়ল। ৩৫ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। রশিদ বল রাখে বাঁদিকে থাকা মহেশকে। মহেশের ক্রস থেকে হামিদ বল জালে জড়িয়ে দেন। হামিদ গোটা ম্যাচে যা সুযোগ পেয়েছিলেন তাতে অনায়াসেই হ্যাটট্রিক করতে পারতেন। পরপর দুটি সুযোগ হাতছাড়া করলেন। ৪২ মিনিটে তাঁর শট বারপোস্টে লাগে। ৪৪ মিনিটে প্রায় ফাঁকা গোল পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না হামিদ, জায়গায় ছিলেন না বিশাল কাইথ। শট পোস্ট ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে আপুইয়ার গোলে সমতায় ফেরে মোহনবাগান। ৫২ মিনিটে এডমুন্ডের জায়গায় নামলেন পিভি বিষ্ণু। ৫৪ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল মোহনবাগান। লিস্টন কামিংসকে সেন্টার বাড়িয়ে দেন, ক্লিয়ার করেন আনোয়ার।
৬০ মিনিটে রবসন নামলেন কামিংসের জায়গায়।
৬৪ মিনিটে হামিদের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামলেন ইস্টবেঙ্গলের জাপানিজ ফরোয়ার্ড হিরোশি ইবুসুকি। ৬৬ মিনিটে নেমেই মিগুয়েলের ফ্রি-কিক থেকে হিরোশির বড় সুযোগ পেয়েছিলেন। জাপানিস ফরোয়ার্ডের হেড বিশাল বাঁচিয়ে দেন। ৬৯ মিনিটে মাথায় চোট পান সাহাল আব্দুল, রক্তপাত হতে থাকে। মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েও মাঠ ছাড়লেন না তিনি। মোহনবাগান সমর্থকরা মজা করে বলছেন ‘মাঠে রক্ত ঝরলে তো মোহনবাগান জয় পাবেই।’

