মূলস্রোতে ফেরার সিদ্ধান্ত, ৬০ জনকে সঙ্গে নিয়ে আত্মসমর্পণ কিষেণজির ভাইয়ের

গড়চিরৌলি : প্রায় ৬০ জন মাওবাদীকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে আত্মসমর্পণ করেছেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভাই মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও। একইসঙ্গে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) হারাল দলের পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের এই মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যকে। বুধবার আত্মসমর্পণ করার জন্য ৬০ জন মাওবাদীকে নিয়ে গড়চিরৌলি পুলিশ সদর দফতরে যায় মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি। উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এবং অন্যান্য পুলিশ কর্তারা। অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মুলস্রোতে ফিরে এলেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেন মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও।

সোমবার গভীর রাতেই গড়চিরৌলিতে ৬০ জন মাওবাদী সদস্যকে নিয়ে অস্ত্রসমর্পণ করেন বেণুগোপাল ওরফে সোনু। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরেই অস্ত্রসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন বেণুগোপাল। লিখেছিলেন, ‘‘দলকে বাঁচাতে সশস্ত্র সংগ্রাম বন্ধ করার সময় এসেছে’’। তারও আগে গত এপ্রিল মাসে সোনুর নাম করে একটি ‘শান্তিবার্তা’ এসেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ত্র ছাড়লেন সোনু।

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, “আজ গড়চিরৌলি জেলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। গড়চিরৌলি থেকে মাওবাদ নির্মূলের প্রক্রিয়া আজ থেকে শুরু হয়েছে। গড়চিরৌলি জেলা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাওবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। চন্দ্রপুর, ভান্ডারা এবং গোন্ডিয়াও প্রাথমিকভাবে মাওবাদ দ্বারা প্রভাবিত ছিল। মহারাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী ছত্তিশগড় এবং তেলেঙ্গানাও নকশালবাদ দ্বারা জর্জরিত ছিল। উন্নয়ন প্রভাবিত হয়েছিল। তরুণরা বিভ্রান্ত হয়েছিল। সোনু ওরফে ভূপতির আত্মসমর্পণ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ ৪০ বছর আগে, গড়চিরৌলিতে একটি নতুন দল, আহেরি সিরোঞ্চা, শুরু হয়েছিল। ভূপতিই এটির সূচনা করেছিলেন, বৌদ্ধিক সহায়তা এবং রসদ সরবরাহ করেছিলেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =