দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টেও ভারতের জয় কার্যত সময়ের অপেক্ষা। পঞ্চম দিনের সকালে জিততে ভারতের দরকার মাত্র ৫৮ রান। তৃতীয় দিনের শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৩ উইকেটে ১৭৩। সেখান থেকে চতুর্থ দিনে দারুণ লড়াই দেখালেন জন ক্যাম্পবেল ও শাই হোপ। দু’জনেই সাবলীলভাবে ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণকে সামলালেন। জাদেজা ও সিরাজদের বলেও ব্যাট জমিয়ে রাখেন তাঁরা। শেষমেশ ক্যাম্পবেলকে আউট করেন জাদেজা, তাঁর ১৯৯ বলে ১১৫ রানের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ৩টি ছক্কা। অপর প্রান্তে শাই হোপও লড়ে যান, তাঁকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ ১০৩ রানে। পরে জাস্টিন গ্রিভস (৫৪) ও জেডন সিলস (৩২) দলকে কিছুটা ভরসা দেন। তবু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯০ রানে গুটিয়ে যায়।
ভারতের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন কুলদীপ যাদব ও জশপ্রীত বুমরাহ। তাদের সঙ্গে কার্যকর ভূমিকা নেন জাদেজাও। এর আগে প্রথম ইনিংসে ভারত ৫ উইকেটে ৫১৮ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছিল। জবাবে ক্যারিবিয়ানরা প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে ভারত ফলো অন চাপায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে। অনেকেই মনে করছেন, ফলো অনের সিদ্ধান্তটা হয়তো একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছিল, কারণ ভারতীয় বোলারদের টানা আড়াই দিন বল করতে হয়েছে। এতে ক্লান্তি বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। কেউ কেউ বলছেন, সিদ্ধান্তটি ছিল একপ্রকার ‘ঔদ্ধত্যের’ নিদর্শন।
চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের রান ১ উইকেটে ৬৩। যশস্বী জয়সওয়াল তাড়াহুড়ো করে আউট হলেও কেএল রাহুল (২৫*) ও সাই সুদর্শন (৩০*) অপরাজিত রয়েছেন। জয় এখন হাতের মুঠোয়। এই ম্যাচ জিতলে ২ টেস্টের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করবে শুভমান গিলের ভারত। প্রথম টেস্টে আড়াই দিনে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেওয়ার পর দিল্লিতে ক্যারিবিয়ানরা কিছুটা লড়াই দেখালেও ভারতের সামনে তাদের পরিণতি প্রায় নিশ্চিত—আর মাত্র ৫৮ রান দূরে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের নীচের সারির ব্যাটারেরা যে কুলদীপের বল বুঝতে পারছেন না তা এই ইনিংসেও দেখা গেল। যে কুলদীপ প্রথম ১৫ ওভার উইকেট পাননি, সেই তিনিই পর পর ৩ উইকেট নিলেন। অধিনায়ক চেজ় ফেরেন ৪০ রানে। শেষ উইকেটে লড়াই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। ৭৯ রান তোলে তারা। অর্ধশতরান করেন জাস্টিন গ্রিভস (অপরাজিত ৫০)। তবে ৩২ রানে জেডেন সিলস ফিরতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের ইনিংস শেষ হয়ে যায়।

