“মানুষ মরছে, অথচ সরকার উদাসীন।” : শমীক ভট্টাচাৰ্য।

কলকাতা : উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির জন্য লুঠ, দুর্নীতি ও উদাসীনতা দায়ী বলেই বাগডোগরা বিমান বন্দর থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। উত্তরবঙ্গের ক্রমাবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ বিজেপি রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দক্ষিণবঙ্গের কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিক, আমলা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী দোয়ার্স অঞ্চলে ভূমি ও প্রাকৃতিক সম্পদের দখলদারিতে মেতে উঠেছে। অবৈধ বালু উত্তোলন, বনভূমি দখল, আর রাস্তা নির্মাণের নামে চলছে সীমাহীন দুর্নীতি।

শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্যে উঠে আসে, গত দুই বছরে এই এলাকায় “অমানুষিক লুঠের” ফলে সাধারণ মানুষের সম্পদ কার্যত ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাঁর তীব্র প্রশ্ন—“এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতির দায় সরকার নেবে না কেন? মানুষ মরছে, অথচ সরকার উদাসীন!” তিনি আরও বলেন,“মানুষ মরছে, অথচ সরকার উদাসীন।” তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন যে রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে এবং মানুষের কষ্টের সময়ে তাদের পাশে নেই।

তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাকে নিশানা করে বলেন, “রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মানুষ যখন বিপর্যস্ত, তখন মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর প্রশাসন নির্লিপ্ত। জনগণের কষ্টের সময় সরকার নেই, আছে শুধু প্রচার।”

তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সক্রিয়তার কথা তুলে ধরে শমীক ভট্টাচার্য জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন। কেন্দ্র থেকে সবরকম সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। তাঁর দাবি, “প্রশাসনের ব্যর্থতার মধ্যে বিজেপির সংগঠন আর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থারাই আজ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছে।”

উত্তরবঙ্গের বর্তমান বাস্তবতা ও রাজ্য সরকারের নীরবতা নিয়ে তাঁর এই কড়া ভাষায় আক্রমণ স্পষ্ট করে দিয়েছে—বিজেপি এখন রাজ্যের উত্তর প্রান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক লড়াইকে আরও চড়াতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven − 1 =