“দলে একজনের জায়গাই পাকা”, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দলের নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো তুলোধোনা প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের !

রোহিত শর্মার পরিবর্তে ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতের অধিনায়ক হয়েছেন শুভমান গিল। তার সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন শ্রেয়স আইয়ার। তবে চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দলে নেই হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং ঋষভ পন্থ। এই বদলগুলো স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত হলেও, দলের মধ্যে এমন একটি বিষয় রয়েছে যেখানে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তা হলো হর্ষিত রানার নিয়মিত দলীয় উপস্থিতি। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “দলে একজনের জায়গাই পাকা। সে হল হর্ষিত রানা। কেউ জানে না কেন ওকে সুযোগ দেওয়া হয়। কেউ পারফর্ম করলেও সুযোগ পায় না, আবার কেউ খারাপ খেললেও তাঁকে নেওয়া হয় না। হর্ষিত রানা থাকাই ভালো। গম্ভীরের ‘ইয়েসম্যান’ হয়ে থাকলে দলে সুযোগ পাওয়া যায়।” শ্রীকান্তের এই মন্তব্য দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি, হর্ষিত রানা নিয়মিতভাবে সুযোগ পাচ্ছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাত্র দুটি ম্যাচে তিনি নিয়েছেন চারটি উইকেট। এশিয়া কাপেও দুই ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন দুই উইকেট, যেখানে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ প্রায় হারিয়ে দিয়েছিলেন। এই পারফরম্যান্সের পরও তাকে দলে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একই সঙ্গে নীতীশ কুমার রেড্ডিও বিতর্কের অংশ। তাঁর ওয়ানডে অভিষেক এখনও হয়নি। নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকর জানিয়েছেন, ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে এই দল সাজানো হয়েছে। তবে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী সদস্য শ্রীকান্ত মনে করেন, বর্তমান দল নির্বাচনে এই লক্ষ্য ঠিকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। তিনি বলেন, “যদি তুমি হর্ষিত রানা এবং নীতীশ কুমার রেড্ডির মতো সম্ভাব্য খেলোয়াড় বেছে নাও, তাহলে ট্রফির স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” এবারকার দলে হর্ষিত রানার নিয়মিত উপস্থিতি, পারফরম্যান্সের তুলনায় বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। ক্রিকেটভক্তরা প্রশ্ন করছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত কি যুক্তিসঙ্গত এবং কি কারণে কিছু খেলোয়াড় নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন। শুভমান গিলের অধিনায়কত্বে দলকে সামলাতে হবে এমন সময়ে, এই বিতর্ক এবং নির্বাচক সিদ্ধান্ত দলের মনোবল ও সমন্বয়ের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। সংক্ষেপে বলা যায়, রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে নতুন অধিনায়কত্ব, চোটের কারণে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি এবং হর্ষিত রানার নিয়মিত উপস্থিতি—এই তিনটি বিষয় কেন্দ্র করে ওয়ানডে দলে আলোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের লক্ষ্য অর্জন করতে দলের কৌশল এবং নির্বাচক নীতির যথাযথ প্রয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen + 5 =