সুপার ফোরে টানা দু-ম্যাচ জিতে ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছিল ভারত। অন্য দিকে, প্রথম দু-ম্যাচ হারার পরই দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এই ম্যাচও এমন কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তা যেন কেউ আশা করেনি। বিশেষ করে ভারত বোর্ডে ২০২ রান তোলার পর মনে হয়েছিল, একপেশে ম্যাচ হবে। টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিং এই টুর্নামেন্টে প্রথম নয় ভারতের কাছে। কিন্তু প্রথমে ব্যাটিং করে স্লগ ওভারে পাওয়ার হিটিংয়ের অভাব থাকলেই।
অভিষেক শর্মার দুর্দান্ত ব্যাটিং জারি। টানা তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি প্লাস ইনিংস। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭৪ করেছিলেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৭৫। সেঞ্চুরির আক্ষেপ ছিল। মনে করা হয়েছিল, এই ম্যাচে সেঞ্চুরিটা হয়ে যাবে। যদিও ৩১ বলে ৬১ রানে ফিরলেন। সঞ্জু স্যামসন ও তিলক ভার্মা জুটি ভারতকে বড় রানের দিকে নিয়ে যায়। সঞ্জু ফিরতেই ফের একবার রানে রাশ। অক্ষর প্যাটেলর স্ট্রাইক রেট চিন্তায় রাখল। শেষ অবধি শ্রীলঙ্কাকে ২০৩ রানের বড় টার্গেট দেয় ভারত।
জসপ্রীত বুমরাকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়। তেমনই শিবম দুবেকেও। পরিবর্তে হর্ষিত ও অর্শদীপ খেলেন। হর্ষিত উইকেট নিলেও হতাশ করলেন। ইনিংসে প্রথম ওভারে উইকেট নেন হার্দিক। এরপর শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রণে ম্যাচ। পাথুম নিশাঙ্ক এবং কুশল পেরেরার ব্য়াটিংয়ে দিশেহারা পরিস্থিতি ভারতের। শেষ ওভারে আউট হন পাথুম। তবে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। কার্যত জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হয় শ্রীলঙ্কার।
সুপার ওভারে লড়াই করার খুব একটা জায়গা থাকে না। বলা যায়, লাকি ড্র-এর মতো। শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে। প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট নেন অর্শদীপ। এরপর অবশ্য ক্রিজে কনফিউশন তৈরি হয়। অর্শদীপের ওয়াইড ইয়র্কারে কট বিহাইন্ডের আবেদনে সাড়া দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। রান আউট করলেও প্রথম ডিসিশন কট বিহাইন্ডের। দাসুন শানাকা রিভিউ নিলে কট বিহাইন্ডের আবেদন বদলাতে হয়। যেহেতু সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার এরপরই বল ডেড হয়। যে কারণে আর রান আউটকে ধরা হবে না। যদিও শ্রীলঙ্কা পরের বলেই উইকেট হারায়। সুপার ওভারে মাত্র ৩ রান করতে হত ভারতকে। সূর্যকুমার যাদব ও শুভমন প্রথম ডেলিভারিতেই দৌড়ে তিন রান নেন। রবিবার ফাইনালে বোলিং চিন্তা নিয়েই নামবে ভারত।

