মদন মাইতি
রবিবার উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কেন্দ্র করে। শনিবার হাওড়া যেতে গিয়েও যেতে পারেননি। পথ আটকে ছিল পুলিশ। এমত অবস্থায় রবিবার দুপুরে হাওড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হতেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের কাছে বিজেপি বিধায়কের পথ আটকালো পুলিশ। বাদানুবাদ শুরু হয় শুভেন্দুর সঙ্গে। এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, শনিবার রাত থেকেই পুলিশি গতিবিধি বাড়তে থাকে শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে। রাত ২টোর পর থেকেই গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় ওই এলাকা। যা নিয়েও বিরক্ত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হতেই তমলুকের রাধামণি মোড়ে আটকে দেওয়া হল শুভেন্দুর কনভয়। যা নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে হাওড়ায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তাই সেখানে না যাওয়ার জন্য শুভেন্দুকে চিঠি পাঠিয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের চিঠি খারিজ করে তিনি রওনা হন হাওড়ার উদ্দেশ্যে।
এরপর রবিবার দুপুরে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রাধামণি মোড়ের কাছে শুভেন্দুকে আটকায় পুলিশ। বাধা পেতেই পুলিশের সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় শুভেন্দুকে। তিনি কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, তিনি হাওড়া গেলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শুভেন্দু। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলেন। পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চান, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৪৪ ধারা নেই, তবুও তাঁকে আটকানো হচ্ছে কেন। পুলিশকে তিনি জানান, কোলাঘাট গেস্ট হাউসে যাচ্ছেন তিনি। অবশেষে কোলাঘাট হয়ে কলকাতায় যাওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ তাঁর পথ ছেড়ে দেয়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রাজ্য পুলিশ বলে কিছু নেই, সবই মমতা পুলিশ হয়ে গিয়েছে’ বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর কাঁথির বাড়ি পুলিশ ঘেরাও করেছে অভিযোগ করে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ‘এখানে রাত দুটো থেকে গার্ডরেল এনে অসভ্যতামি হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর হিসেব মেটাতে হবে। সব সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ রয়েছে। কোর্টে যাব। কাঁথি থানার আইসি, পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি, ডিজিপি এবং মুখ্যসচিবের নামে অভিযোগ জানাব।’