মরণ বাঁচণ ম্যাচে হার। এশিয়া কাপে ছিটকে গেল আফগানিস্তান। বোর্ডে বড় স্কোর করেও লাভ হল না। শ্রীলঙ্কার জয়ে সুপার ফোরে জায়গা করে নিল বাংলাদেশও।গ্রুপের তিন ম্যাচেই জিতে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা।
রান তাড়ার নিরিখে আফগানিস্তানের পরিসংখ্যান খুব একটা ভালো নয়। গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সহজ টার্গেট তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এ দিন টস জিতে তাই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান ক্যাপ্টেন রশিদ খান। শ্রীলঙ্কা প্রথম দু-ম্যাচেই জিতেছিল। তবে এ দিন হারলে অবশ্য সমস্যা হতে পারত। তার কারণ নেট রান রেটের উপর অনেক কিছু নির্ভর করত। ব্যবধান কম হলে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দু-দলই যেতে পারত। শ্রীলঙ্কার জয়ে আফগানিস্তানের দৌড় শেষ।
প্রথমে ব্যাটিং করে আফগানিস্তান। শুরুটা যদিও খুব খারাপ। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। শেষ দিকে অবশ্য চমক অপেক্ষা করছিল। আফগানিস্তান টিমের মিস্টার প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নবির বিধ্বংসী ব্যাটিং। ইনিংসের শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কা মারেন মহম্মদ নবি। শেষ বলে রান আউট হন।
রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কা অবশ্য খুব বেশি ভুল করেনি। সনৎ জয়সূর্য কোচ হওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কা টিমের ব্য়াপক উন্নতি হয়েছে। এই ম্যাচেও তার ছাপ দেখা গেল। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা এবং তিনে নামা কামিল মিশারা রান না পলেও ছন্দ হারায়নি শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিস এক দিক আগলে রাখেন। উল্টোদিক থেকে উইকেট হারালেও স্বাভাবিক খেলায় মন দেন। ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন কুশল। ৫২ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংস কুশলের ব্যাটে। গ্রুপ বি থেকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সুপার ফোরে।

