একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তথাকথিত ‘বিরোধীদের’ ক্লিন সুইপ মহারাজের। ঠিক যেন বাপি বাড়ি যা স্টাইলেই বিরোধীদের মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন। যদিও সৌরভের বিরোধী পক্ষ হিসেবে কেউই কখনও সামনে আসেনি। তবে ময়দানে ভাসছিল সিএবি নির্বাচনের অঙ্ক। রবিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সৌরভ তো বলেই দিলেন, ‘সিএবি তে কোনও বিরোধী নেই।’ আবার এটাও বললেন, ‘দেড় বছর ধরে নির্বাচন লড়েছি। বাঁকুড়া, বীরভূম একাধিক জেলায় গিয়েছি।’ মহারাজের এই পদক্ষেপেই সিএবি-তে ধোপে টিকল না বিরোধীপক্ষ। নিজে এলেন শুধু নয়, পছন্দের প্যানেল তৈরি করে বসলেন মসনদে।
শীর্ষ পদাধিকারী ছাড়াও অ্যাপেক্সেও প্যানেল বেছে নিলেন সৌরভ। সামনে একাধিক আকর্ষণীয় আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ ইডেনে। সেটাকে মাথায় রেখেই একেবারে কর্পোরেট কায়দায় পেশাদার টিম গড়লেন সৌরভ। সিএবির নতুন টিমে প্রত্যেকে নিজেদের আস্থা তৈরি করতে প্রস্তুত।
অ্যাপেক্স কাউন্সিলে এলেন সৌমেন্দু চট্টোপাধ্যায় আর সুরজিৎ লাহিড়ী (জ্যাক)। মেসারার্স ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে সিএবিতে এলেন সৌমেন্দু চট্টোপাধ্যায়। আর বাণী নিকেতন ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে অ্যাপেক্সে এলেন সুরজিৎ লাহিড়ী। কোষাধ্যক্ষ পদে এলেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় দাস। নতুন সচিব বাবলু কোলেকেও অনেক আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মহারাজ। সেটাও রাখলেন। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সিএবির সঙ্গে যুক্ত নিশীথরঞ্জন (অনু) দত্তকেও সহ সভাপতি পদে এনে তাঁকে যথাযথ সম্মান দিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। যুগ্মসচিব মদনমোহন ঘোষও বঙ্গ ক্রিকেটের অতি পরিচিত মুখ। অ্যামেচার ক্লাব থেকে সিএবির অ্যাপেক্স কাউন্সিলে এলেন নীলাঞ্জনা বসু। একদা সিএবির দুঁদে কর্তা চিত্রক মিত্রর কন্যা ও বর্তমান মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বসুর স্ত্রী নীলাঞ্জনা। সিএবির অ্যাপেক্সে মোহনবাগান ক্লাব থেকে এলেন সৌমিক বসু (টুবলাই)। আইএফএ-র প্রাক্তন সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এলেন অ্যাপেক্সে। এছাড়া বাকি সদস্য: বিবেক লোহিয়া, গৌতম গোস্বামী, রবি টোডি, আশিস চক্রবর্তী, কৌশিক মুখোপাধ্যায় আর নবরতন ঝাওয়ার।

