নেপালের প্রেসিডেন্টের বাড়িতে আগুন ধরাল বিক্ষোভকারীরা, পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী সহ একাধিক মন্ত্রীর

কাঠমান্ডু  : প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ইস্তফার দাবিতে যুবসমাজের বিক্ষোভের জেরে অশান্ত নেপাল। মঙ্গলবার থেকে ফের নতুন করে বিক্ষোভ ছডিয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি অংশে। দেশের নেতা-মন্ত্রীদের বাসভবন লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ক্ষুব্ধ জনতা। নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েলের বাসভবনেও ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন।

নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ডের বাড়িতেও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সহ একাধিক মন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার জেরে যুবসমাজের প্রতিবাদে সোমবার থেকেই উত্তাল হয়েছিল নেপাল। জনরোষের মুখে পড়ে সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও এবার ওলির দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সকলে। ওলির সরকারকে গদিচ্যুত করার দাবি শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা নেপালের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। নেপাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবার বাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।উপপ্রধানমন্ত্রীর বাড়ি লক্ষ্য করেও পাথর ছোড়ে উন্মত্ত জনতা।

এদিকে, উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে কাঠমান্ডু এবং সংলগ্ন এলাকায় জারি করা হয়েছে কারফিউ। যা অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এই কারফিউ উপেক্ষা করেই বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে জনতা। নেপালের এই পরিস্থিতির জেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন আগেই। এরপর একই পথে হেঁটেছেন দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য, কৃষি, জল সরবরাহ মন্ত্রীরাও। একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগের জেরে চাপে রয়েছে ওলিও। এই আবহেই তিনি সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, সরকারি নিয়মবিধি না মানায় সম্প্রতি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব সহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল নেপালে। এরই প্রতিবাদে সোমবার রাস্তায় নেমেছিল যুবসমাজ। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ।

প্রসঙ্গত , সোমবারের এই বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন একাধিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 12 =