ভারতের স্বাধীনতার পর ভাষার প্রশ্নটি দেশের রাজনীতি ও প্রশাসনের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। ০৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ সালে কেন্দ্রীয় বিধানসভায় হিন্দিকে সরকারিভাষা হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব পাস হয়। এই প্রস্তাব স্বাধীন ভারতের ভাষার ভিত্তি স্থাপন করে এবং ভবিষ্যতে রাষ্ট্রভাষা নীতির জন্য পথ প্রশস্ত করে।
এর ঠিক এক বছর পর, ০৯ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ সালে ভারতের সংবিধান সভা হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সংবিধান সভায় এই বিষয়ে দীর্ঘ বিতর্ক হয়েছিল কারণ দেশটি বহু ভাষাভাষী এবং প্রতিটি রাজ্যের নিজস্ব ভাষাগত পরিচয় ছিল। হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করার পাশাপাশি দেবনাগরী লিপিকেও সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৪৩-এ এই ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে যে কেন্দ্র সরকারের রাষ্ট্রভাষা হবে হিন্দি, যদিও ইংরেজি ভাষার ব্যবহার একটি রূপান্তরকালীন সময় পর্যন্ত চলবে। এই সিদ্ধান্তটি ভারতের ভাষাগত ঐক্য এবং প্রশাসনিক সুবিধা – উভয়কে মাথায় রেখেই নেওয়া হয়েছিল।
এই দিনটিকে ভারতীয় ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক মাইলফলক হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এই সিদ্ধান্ত হিন্দিকে শুধুমাত্র একটি গণভাষা থেকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে জাতির রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপঞ্জী
- ১৭৭৬ – আমেরিকার কংগ্রেস সরকারিভাবে দেশের নাম ‘ইউনাইটেড কলোনিজ’ থেকে পরিবর্তন করে ‘ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা’ রাখে।
- ১৮৫০ – ক্যালিফোর্নিয়া আমেরিকার ৩১তম রাজ্য হয়।
- ১৮৬৭ – ইউরোপীয় দেশ লাক্সেমবার্গ স্বাধীনতা অর্জন করে।
- ১৯১৫ – বিখ্যাত ভারতীয় বিপ্লবী সচীন্দ্রনাথ সান্যাল ও ব্রিটিশদের মধ্যে ওড়িশার কাপ্তেওয়াড়ায় সংঘর্ষ।
- ১৯২০ – আলিগড়ের অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ ‘আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি’-তে রূপান্তরিত হয়।
- ১৯২৪ – ০৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে কোহাট দাঙ্গা হয়।
- ১৯৩৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন নাৎসি বাহিনী ভার্সাই পৌঁছায়।
- ১৯৪৮ – ভারতের স্বাধীনতার পর কেন্দ্রীয় বিধানসভায় হিন্দিকে সরকারিভাষা হিসেবে গ্রহণের প্রস্তাব পাস হয়।
- ১৯৪৯ – ভারতের সংবিধান সভা হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
- ১৯৫৪ – আফ্রিকার দেশ আলজেরিয়ায় ভূমিকম্পে ১৪০০ জন নিহত।
- ১৯৬৫ – তিব্বত চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হয়।
- ১৯৬৭ – উগান্ডা ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
- ১৯৭৬ – মাও সেতুং-এর মৃত্যু এবং কুও ফেং রাষ্ট্রপতি হন।
- ১৯৭৯ – যোগেন্দ্রনাথ হাজারিকা মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন।
- ১৯৯১ – তাজিকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
- ১৯৯৮ – মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও মনিকা লিউইনস্কি ঘটনার রিপোর্ট কংগ্রেসে জমা দেন কেএনেথ স্টার।
- ১৯৯৯ – ভারতের মহেশ ভূপতি এবং জাপানের আরিক সুগিয়ামার জুটি ইউএস ওপেনের মিশ্র দ্বৈত খেতাব জেতে।
- ২০০১ – ভেনাস উইলিয়ামস ছোট বোন সেরেনাকে গ্র্যান্ডস্ল্যাম ফাইনালে হারান।
- ২০০২ – পিট স্যাম্প্রাস আন্দ্রে আগাসিকে হারিয়ে ইউএস ওপেন টেনিস খেতাব জিতে নেন।
- ২০০৪ – ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ কুরাই পদত্যাগ করেন।
- ২০০৫ – চীনের বেইজিং-এর চাওয়াং পার্কে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির উন্মোচন হয়।
- ২০০৬ – আন্তর্জাতিক চাপের প্রেক্ষিতে ইসরায়েল আট সপ্তাহের লেবাননের নৌ অবরোধ প্রত্যাহার করে।
- ২০০৬ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস সেন্টার থেকে স্পেস শাটল আটলান্টিস মহাকাশে যাত্রা করে।
- ২০০৭ – ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে হলিউড অভিনেতা ব্র্যাড পিট সেরা অভিনেতা এবং কেট ব্ল্যাঞ্চেট সেরা অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার পান।
- ২০০৮ – বিশিষ্ট হিন্দি সাহিত্যিক ও লোকসংস্কৃতিবিদ ড. অর্জুনদাস কেশরিকে ‘সাহিত্য মহোপাধ্যায়’ সম্মানে ভূষিত করার ঘোষণা।
- ২০০৮ – সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই-কে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দুই বিচারপতি নির্মল যাদব ও নির্মল জিৎ কৌরের কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকার ঘুষকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়।
- ২০০৯ – রেল মন্ত্রণালয় তার কর্মীদের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ন্যায় বায়োমেট্রিক পরিচয় ব্যবস্থা চালু করার ঘোষণা দেয়।
- ২০১০ – ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
- ২০১১ – প্রত্নতত্ত্ববিদরা একটি জীবাশ্মের সন্ধান পান, যা মানুষের সবচেয়ে পুরোনো পূর্বপুরুষ, প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগের। এটি দেখতে বানরের মতো এবং নাম ‘অস্ট্রালোপিথেকাস সেডিবা’।
- ২০১১ – বিজ্ঞানীরা অটিজম সম্পর্কিত দুইটি পৃথক জৈবিক চাপ আবিষ্কার করেন, যা এই রোগের কার্যকর চিকিৎসা উন্নয়নের দিকনির্দেশ দিতে পারে।
- ২০১২ – ইরাকে বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত, ৩৫০ জন আহত।
জন্ম
- ১৮২৮ – লিও টলস্টয় – মহান রুশ ঔপন্যাসিক।
- ১৮৫০ – ভারতেন্দু হরিশচন্দ্র – খ্যাতনামা হিন্দি লেখক ও নাট্যকার।
- ১৮৭৪ – গোপাল চন্দ্র প্রহরাজ – ওড়িয়া ভাষার বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও ভাষাবিদ।
- ১৮৮০ – অর্জুনলাল শেঠি – ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামীর অন্যতম।
- ১৮৯৪ – হামিদুল্লাহ খান – ভারতের ভোপাল রাজ্যের শেষ নবাব।
- ১৯০৫ – হুসেইন শাহ – ভারতীয় দার্শনিক।
- ১৯০৭ – মহবুব খান – ভারতীয় সিনেমার অগ্রণী নির্মাতা-পরিচালক।
- ১৯০৮ – বৃশ ভান – ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী।
- ১৯০৯ – লীলা চিটনিস – খ্যাতনামা হিন্দি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
- ১৯৩২ – কান্তি কুমার জৈন – হিন্দির বিশিষ্ট সাহিত্যিক।
- ১৯৪২ – মণি মধুকর – খ্যাতনামা সাহিত্যিক।
- ১৯৬৭ – অক্ষয় কুমার – বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা।
- ১৯৭৪ – বিক্রম বত্রা – ভারতীয় সৈনিক।
- ১৯৭৮ – জ্যোতি সুনীতা কুল্লু – ভারতের পরিচিত মহিলা হকি খেলোয়াড়।
- ১৯৯৮ – তুলিকা মান – ভারতের জুডো খেলোয়াড়।
মৃত্যু
- ১৯২১ – আকবর এলাহাবাদী – হিন্দুস্তানি ভাষা ও সংস্কৃতির একজন শক্তিশালী এবং সাহসী কবি।
- ১৯৪৭ – আনন্দ কুমার স্বামী – ভারতের প্রখ্যাত শিল্পবিশারদ ও চিন্তক।
- ১৯৬৮ – রামবৃক্ষ বেণিপুরী – বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রবন্ধকার, নাট্যকার, বিপ্লবী, সাংবাদিক ও সম্পাদক।
- ১৯৮০ – সদাশিব ত্রিপাঠী – ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ ও উড়িষ্যার ৫ম মুখ্যমন্ত্রী।
- ১৯৮১ – লালা জগত নারায়ণ – প্রখ্যাত সাংবাদিক ও হিন্দ সংবাদ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা।
- ১৯৮২ – শেখ আবদুল্লাহ – কাশ্ম

