সোমবার সকালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের জার্সিতে খেলতে কলকাতায় চলে এসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো। ফুটবলের দেশ ব্রাজিলেই বড় হয়েছেন তিনি। প্রাক্তন ক্লাব বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস। সেখানে খেলে গত তিন বছরে সাতটা ট্রফি জিতেছেন । ব্রাজিলের সাও পাওলো লিগে নেইমার দ্য সিলভার বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে রবসনের। এই ব্রাজিলিয়ান তারকা এবার খেলবেন সবুজ-মেরুন জার্সিতে।
মঙ্গলবার রবসনকে দেখার জন্যই সমর্থকদের ভিড় জমে ক্লাব তাঁবুতে। এদিনই প্রথম মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুতে পা রাখলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তিনি। একটু ঠোঁটকাটা সুরে বললেন, মোহনবাগান ক্লাবকে আমি নির্বাচন করিনি, বরং ক্লাবই আমাকে ডেকেছে। রবসন বলেন, “আমি মোহনবাগান নির্বাচন করিনি, ক্লাব আমাকে নির্বাচন করেছে।”
বাংলাদেশ ও ভারতের ফুটবল পরিবেশের পার্থক্য নিয়ে রবসন বলেন, “বাংলাদেশের চেয়ে ভারতের মাঠের গুনমান অনেক ভালো। দুই দেশের ফুটবল পরিকাঠামোতে পার্থক্য রয়েছে। তবে স্থানীয় ফুটবলারদের গুণমানও এখানে তুলনামূলক ভাবে ভালো।” শেষ মার্চ মাসে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। মোহনবাগানে যেখানে বাকিদের ফিটনেস সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল, সেখানে রবসনকে নিয়ে চিন্তায় সমর্থকরা। এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “১৪-১৫ দিন ট্রেনিং করেছি। আশা করছি দলকে সাহায্য করার জন্য পুরো ফিট আছি। বাকিটা কোচের হাতে: রবসন রবিনহো।”
নেইমারের বিরুদ্ধে খেলা রবসন নিজে অবশ্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে বেশি পছন্দ করেন। এদিকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুঁজো রবসনের প্রাক্তন কোচ। বসুন্ধরা কিংস দলে অস্কারের নেতৃত্বেই খেলতেন তিনি। রবসন বলেন, “ডুরান্ড কাপ দেখেছি। আমার প্রাক্তন কোচ ইস্টবেঙ্গলে ছিল, কিন্তু আমার ফোকাস ছিল পুরোপুরি মোহনবাগানের উপর। আশা করছি দলের সঙ্গে, আমার সতীর্থদের সঙ্গে এই বড় ক্লাবের জার্সি গায়ে গোটা মরশুম ভালো কাটবে।”
সবশেষে বাংলা ভাষা ও বাঙালি খাবার নিয়ে কথা বললেন রবসন। তিনি বলেন, “বাংলার খাবার নিয়ে অনেক শুনেছি। অনেক মিষ্টি বেশ ভালো লাগে। তবে মশালাদার খাবার পছন্দ নয়, একদমই খেতে পারি না। মশলা ছাড়া বিরিয়ানিও খেয়েছি।”
আজ এ.এফ.সি. ওমেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০২৫-২৬, প্রিলিমিনারি স্টেজ, গ্রুপ ‘ই’ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল এফসি দলকে ক্লাব তাঁবুতে সংবর্ধিত করলো ইস্টবেঙ্গল ক্লাব I সাথে ছিল তাদের জন্য ডিনার I

