দূরন্ত লড়াই, অবশেষে হার স্বীকার খালিদ জামিলের ভারতের। কাফা কাপের প্রথম ম্যাচে তাজিকিস্তানকে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা হয়েছিল খালিদ যুগের। তবে ইরানের বিরুদ্ধে শেষ রক্ষা হল না। ০-৩ গোলে পরাজিত ভারত। ইরানের গাঁট টপকাতে পারল না সন্দেশ ঝিঙ্গানরা। অসাধারণ লড়াই করল ভারত। ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ইরান রয়েছে ২০ তম স্থানে। প্রায় ১১৩ ধাপ পিছিয়ে ভারত। খালিদ জামিলের ছেলেদের লড়াই দেখে যদিও তা মনে হয়নি। এক কথায় বলতে গেলে, ইরানের ফুটবলারদের ফিনটেসের কাছে হেরে গেলেন ভারতীয় ফুটবলাররা।
গোটা ম্যাচ জুড়ে আক্রমণভাগ, রক্ষণ, মাঝমাঠ সবেতেই দাপট দেখিয়েছে ভারত। রক্ষণকে শক্তিশালী করতে ৭-২-১ ফর্মেশনে দল সাজিয়েছিলেন ব্লু-টাইগার্সদের হেড কোচ খালিদ জামিল। মাঝমাঠের ফুটবলারও সামলে দিচ্ছিলেন রক্ষণ। এদিকে ইরানের একের পর এক আক্রমণ সামলেও আক্রমণের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন ইরফান ইদওয়াদ। প্রথমার্ধ থেকে ইরানের উপরও পাল্টা চাপ সৃষ্টি করছিল ভারত। ইরানের প্রথম একাদশে মেহেদি তারেমি বা জাহানবকশের মতো তারকা ফুটবলাররা ছিলেন না। সেই সুযোগ কাজে লাগালেও শেষমেশ জয় পেল না ভারত। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়। আনোয়ার আলী, সন্দেশ ঝিঙ্গান এবং বাকি প্রায় চারজন ফুটবলার ভারতীয় রক্ষণের দেওয়া ভাঙতে দেননি ইরানকে। দক্ষতা নিয়ে এদিনও মাঠে নিজেকে প্রমাণ করলেন ভারতীয় রক্ষণের শেষ প্রহরী গুরপ্রীত সিং সান্ধু।
দ্বিতীয়ার্ধেও ভারতীয় রক্ষণ বেঁধে রেখেছিল ইরানকে। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে খেলা ঘোরানোর জন্য একাধিক বদল করেন কোচ খালিদ। জিকসন ও চিংলেনসানাকে নামান। তবে এতে খুব একটা লাভ হয়নি। ৫৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ইরানের ভাসানো বল, রাহুল ভেকে সামনে থাকলেও হদিশ পাননি। সুযোগ পেয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন ইরানের আমির হোসেন। আরও রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে ভারত। এরপর ইন্টার মিলানের প্রাক্তন স্ট্রাইকার তারেমি পাস বাড়িয়ে দেন জাহানবকশের দিকে। প্রথম শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। ফিরতি বলে গোল করেন আলিপোরঘারা। ৯৩ মিনিটে ফের জাহানবকশের পাশে গোল করলেন তারেমি। হারলেও ভারতের এই লড়াই মনে দাগ কাটল ফুটবলপ্রেমীদের।

