রায়গঞ্জ: আট মাস পর মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার ছটপড়ুয়া গ্রামে। মৃতা গৃহবধূর নাম অর্চনা বর্মন (২৮)। সম্পত্তির লোভেই সৎ ছেলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত সৎ ছেলে গোপাল বর্মন সহ ৪ জনকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। রায়গঞ্জ ব্লকের ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের ছটপড়ুয়া গ্রামের বাসিন্দা বিধবা মহিলা অর্চনা বর্মন ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর সৎ ছেলে গোপাল বর্মন রায়গঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করে। অপরদিকে নিখোঁজ হওয়া অর্চনার বাবা জগবন্ধু বর্মন গোপালের বিরুদ্ধে অপহরণ ও খুন করে মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে সেইসময় অর্চনা দেবীর সৎ ছেলে গোপাল বর্মনকে গ্রেপ্তার করে। কিছুদিনের মধ্যে জামিনও পেয়ে যায় গোপাল। এই ঘটনার বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পর গোপালের দুই সঙ্গী স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী সোনা টপ্পোর সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্চনা দেবীর নিখোঁজের বিষয়ে কিছু তথ্য জানায়। তৃণমূল নেত্রী সোনা টপ্পো যোগাযোগ করেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে। শনিবার পুলিশ পুনরায় তদন্তে নেমে ছটপড়ুয়া এলাকায় একটি জায়গায় মাটি খুঁড়ে একটি কুকুরের কঙ্কাল উদ্ধার করে। পরে নতুন করে তথ্য পেয়ে আবারও পুলিশ শনিবার রাতেই পশ্চিম ছটপড়ুয়া এলাকায় একটি জায়গার মাটি খুঁড়ে নিখোঁজ অর্চনা বর্মনের পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অভিযুক্ত গোপাল বর্মন সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের রায়গঞ্জ আদালতে তোলার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।