কলকাতা লিগে পুলিশ এসি’র বিরুদ্ধে গত ম্যাচে হেরে তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের৷ নৈহাটি বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে স্বস্তির তিন পয়েন্ট পেল ইস্টবেঙ্গল৷ কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্সের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জয়ী লাল-হলুদ ব্রিগেড। গুইতে পেকার একমাত্র গোলে জয় এলেও দলের খেলা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
এদিন ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে শুরু করেছিলেন সৌভিক চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র দলের দেবজিৎ মজুমদার, এডমুন্ড লালরিনডিকা। ৩৬ মিনিটে সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাস থেকে মহম্মদ আশিক সুযোগ নষ্ট করেন।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তন্ময়ের জায়গায় শ্যামলকে নামান কোচ বিনো জর্জ। দ্বিতীয়ার্ধে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের বিক্রম প্রধান। বিরতির পর ডেডলক ভাঙে ইস্টবেঙ্গল ৷*৫৫ মিনিটে ডানদিক থেকে এডমুন্ডের পাস পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গুইতে পেকার গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৫৬ মিনিটে আশিক এস -এর জায়গায় রোশাল নামে। ৬৫ মিনিটে এডমুন্ডের জায়গায় রামসঙ্গা মাঠে নামেন। ৭৯ মিনিটে সায়ন ও গুইতেকে তুলে বিজয় মূর্মূ ও আজাদ শাহিম মাঠে নামেন। ৮৭ মিনিটে ডানদিক থেকে আজাদের বাড়ানো বলে গোল করতে ব্যর্থ বিজয় মূর্মু। ফাঁকা গোলে বড় সুযোগ নষ্ট ইস্টবেঙ্গলের। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের জন্য যেন বাকি ছিল সব নাটকীয় মূহুর্ত। কালীঘাটের সূরয মন্ডল ইস্টবেঙ্গল বক্সের ভিতর বল নিয়ে ঢুকে যান। ইস্টবেঙ্গলের সুমন দে সূরযকে বাধা দিতে গেলে পড়ে যান তিনি। কালীঘাট ফুটবলারদের জোরালো পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। ম্যাচ শেষে রেফারির উপর আক্রমণ করে বসেন কালীঘাট ফুটবলাররা। সামাল দিতে মাঠে নামে পুলিশ।

