কলকাতা : বিধানসভা নির্বাচন হতে এখনও কয়েক মাস দেরি আছে, যদিও তার আগেই রাজ্যে SIR চালু হওয়ার আগেই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সংঘাতে আরও একধাপ এগোল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্বাচন কমিশনের (EC) কাছে অতিরিক্ত সিইও, ডেপুটি সিইও ও যুগ্ম সিইও পদের জন্য যে ৯ জন আধিকারিকের নামের প্যানেল পাঠিয়েছিলেন, কমিশন তা সম্পূর্ণভাবে বাতিল করে দিয়েছে। তিনটি পদের জন্য মোট ৯ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কাউকেই ‘যোগ্য’ বলে মনে করেনি কমিশন। তাই নতুন করে নাম পাঠাতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।
এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এল, যখন ইতিমধ্যেই দুই ইআরও-সহ চার আধিকারিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। যার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “আমি কাউকে সাসপেন্ড করতে দেব না।” তাঁর অভিযোগ, “নির্বাচনের আগে অমিত শাহর নির্দেশে অতিসক্রিয় হয়েছে কমিশন। এটা একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।” তাঁর আরও কটাক্ষ, “নির্বাচন কমিশন এখন অমিত শাহের হাতের পুতুল হয়ে গিয়েছে।”
অন্য দিকে কমিশনও স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ইআরও-দের সাসপেন্ড না করলে মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার মধ্যেই মুখ্যসচিবের পাঠানো তিনটি শীর্ষ প্রশাসনিক পদের প্রস্তাবিত নাম খারিজ করে দিল কমিশন।
নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে এই ঘূর্ণাবর্তে রাজ্যের প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সম্পর্ক যে আরও জটিল হয়ে উঠছে, তা বলাই বাহুল্য। আগামী দিনে এই দ্বন্দ্ব কোন দিকে মোড় নেয়, তার দিকে নজর রাজনৈতিক মহলের।

