অবহেলিত কচুরিপানা দিয়েই শৌখিন দ্রব্য তৈরি করে স্বনির্ভর হচ্ছেন হুগলির মহিলারা

মহেশ্বর চক্রবর্তী

নদী, পুকুর ও জলা জায়গা অবহেলায় প্রাকৃতিক ভাবেই বেড়ে ওঠে কচুরিপানা। প্রকৃতির কি বিচিত্র রূপ ধরা পড়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদে। শখ করে কেউ সাধারণত কচুরিপানা চাষ করে না। অথচ এই জলজ সম্পদ কত রকমভাবে মানুষের উপকার করে। এই রকম দৃষ্টান্ত দেখা গেল, হুগলির ব্যান্ডেলে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কচুরিপানা দিয়ে হস্তশিল্পের মাধ্যমে নানা রখম শৌখিন জিনিস তৈরি করছে এবং স্বনির্ভর হয়ে আর্থিক সংকট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন। হুগলির ব্যান্ডেলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা হস্তশিল্পের মাধ্যমে এই কাজ করছেন। যদিও মৎস্যজীবীদের কাছে কচুরিপানা দুর্ভোগের কারণ। কিন্তু সেই কচুরিপানা দিয়েই যদি তৈরি হয় ব্যাগ, ফুড ট্রে, টুপি, ফুলদানি তাহলে কেমন হয়। এইরকমই অবিশ্বাস্য কাজ করছেন হুগলির ব্যান্ডেলের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্যান ফাউন্ডেশন। মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে তারা কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছে হস্তশিল্প নানাবিধ জিনিস। তৈরি হচ্ছে ব্যাগ থেকে শুরু করে মাথার টুপি, ফুলদানি, নানা জিনিস। এ সমস্ত কাজের জন্য প্রথমে জলাশয় থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করে কচুরিপানার ডাটি গুলিকে ভালো করে শুকনো করে নেওয়া হয়। তারপর সেই ডাটিগুলিকে ছাড়িয়ে আয়রণ করে এবং দক্ষ কর্মচারীদের হাতের শৈল্পিক স্পর্শে সেটা রূপ নেয় অপূর্ব সমস্ত দ্রব্যে। এই বিষয়ে সংস্থার কর্নধার বলেন, বাড়ি সাজানোর জিনিস থেকে শুরু করে মহিলাদের শৌখিন হ্যান্ড ব্যাগ ও মহিলাদের জুয়েলারি সহ বিভিন্ন জিনিস কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। অপরদিকে স্বনির্ভর গোষ্ঠী এক মহিলা জানান, আমরা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর এই কাজ করছি। প্রায় এক বছর ধরে এই কাজ চলছে। ভালো আয়ও হচ্ছে। মেয়েরা স্বনির্ভর হতে পারছে। সবমিলিয়ে তাদের এই তৈরি হস্তশিল্প দিনে দিনে মানুষের মনে বিশেষ আগ্রহ তৈরি করছে। হস্তশিল্প মেলাগুলিতে এই কচুরিপানার তৈরি হস্তশিল্প কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন শিল্প প্রেমী মানুষেরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − twelve =