ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম টেস্টে হার। নতুন ক্যাপ্টেন শুভমন গিলের শুরুটা শুভ হয়নি। তবে এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। এর আগে কোনও দিন এই মাঠে টেস্ট জিততে পারেনি। অবশেষে শুভমন গিলের দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং টিম গেমে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয়। লর্ডস টেস্ট জিতে সিরিজে ২-১ এগিয়ে যাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ ছিল ভারতের কাছে। সেই পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছিলেন বোলাররা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি। লোয়ার অর্ডার মরিয়া লড়াই করলেও হার বাঁচাতে পারেনি ভারত। মাত্র ২২ রানে ম্যাচ খোয়ানো ভারতীয় শিবিরে বড় ধাক্কা দিয়েছে। ২৩ জুলাই ম্যাঞ্চেস্টারে শুরু চতুর্থ টেস্ট। সিরিজ জিইয়ে রাখতে ভারতকে জিততেই হবে। একাধিক পরিবর্তন নিশ্চিত টিমে।
জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে সিরিজ শুরুর আগেই বলা হয়েছিল, জসপ্রীত বুমরা মাত্র তিনটি টেস্টে খেলবেন। ওয়ার্কলোড ম্যানেজের জন্য়ই এমন সিদ্ধান্ত। কিন্তু সিরিজে পিছিয়ে থাকায় বা বলা ভালো, সিরিজ হার বাঁচানোর ম্যাচে বুমরাকে বসানো হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছেই। লর্ডস টেস্ট শেষের পর ক্যাপ্টেন শুভমন গিলকে এই নিয়ে প্রশ্নও করা হয়েছিল। কারণ, লিডসে প্রথম টেস্টে খেলার পর এজবাস্টনে বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। গত ম্যাচে ফেরানো হয়। সেই নিয়ম মানলে পরের টেস্টেও বিশ্রাম দেওয়ার কথা। শুভমন অবশ্য তা পরিষ্কার করেননি, জানিয়েছিলেন, দেখতেই পাবেন! তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টের মধ্যে অনেকটা গ্যাপ থাকায় মনে করা হচ্ছে, ম্যাঞ্চেস্টারে বুমরাকে খেলানো হলেও হতে পারে।
বিরাট-রোহিতের অবসর, আট বছর পর টেস্টে প্রত্যাবর্তন করুণ নায়ারের। স্বাভাবিক ভাবেই এই সিরিজে বাড়তি নজর ছিল টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটার করুণের দিকে। যদিও ছয় ইনিংস খেলে ফেললেও ভরসা দিতে ব্যর্থ। লর্ডসেই তাঁকে বসানোর সম্ভাবনা ছিল। তবে অভিজ্ঞতার নিরিখে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। ম্যাঞ্চেস্টারে তাঁর পরিবর্তে অভিমন্যু ঈশ্বরণ কিংবা সাই সুদর্শনের মধ্যে একজনকে খেলানোর সম্ভাবনা প্রবল।
লিডসে অভিষেক হয়েছিল সাই সুদর্শনের। যদিও হতাশ করেন। পরের ম্যাচেই বাদ পড়েন। অন্য দিকে, প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো খেলে যাওয়া অভিমন্যু ঈশ্বরণ রয়ে গিয়েছেন ওয়েটিং লিস্টেই। ভারত এ দলের ক্যাপ্টেন তিনি, সিনিয়র দলে একাধিক সিরিজে স্কোয়াডে রাখা হলেও খেলানো হয়নি একটি ম্যাচও। এ বার তাঁকে সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
লর্ডসে ভালো বোলিং করেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তবে অলরাউন্ডার হিসেবে যে পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা পাওয়া যায়নি। ফলে একাদশে তাঁর জায়গা নিশ্চিত নয়। ঝুঁকি নিতে চাইলে স্পেশালিস্ট বোলার বা ব্যাটার খেলানো হতে পারে। ব্যাটার খেলাতে চাইলে, ধ্রুব জুরেলের সম্ভাবনা প্রবল। বোলার খেলাতে চাইলে অর্শদীপকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। বাঁ হাতি পেসার থাকলে বোলিংয়ে বৈচিত্রও বাড়বে। কিংবা আরও বৈচিত্র আনতে কুলদীপ যাদবকে খেলানো হতে পারে। বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার হওয়ায় ইংল্যান্ডকে প্রবল চাপে ফেলা যেতে পারে।

