দীর্ঘ ৪৫ বছরের পোস্ট অফিসের (post office) করুণ দশা। ঘটনাটি হুগলি জেলার আরামবাগের বাসুদেবপুরের কৃষ্ণপুর পোস্ট অফিসের। গ্রাহক আসছে অথচ পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আর এই নিয়েই ব্যাপক ক্ষোভ এলাকায়। অফিসে এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়ছেন গ্রাহকরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সরকারি চেয়ারে বসে সময় কাটছে পোস্ট অফিসের কর্মীরা। লিঙ্ক না থাকায় প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক ও এজেন্টদের সমস্যায় পরতে হচ্ছে। এদিন অফিসে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। জানা গিয়েছে, পারুল, সালেপুর, আরামবাগ পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শুরু করে মায়াপুর ও গৌরহাটি অঞ্চল এবং কলকাতা ও বাঁকুড়া জেলার গ্রাহক আছে এই ঐতিহ্যবায়ী পোস্ট অফিসে। এই সমস্ত ভিন্ন জেলার গ্রাহকেরাও পোস্ট অফিসে এসে ফিরে যাচ্ছেন। প্রচন্ড দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা গ্রাহকদের। কেবল লিঙ্ক না থাকার কারণে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান পোস্ট মাস্টার মিলন অধিকারী ও পোস্ট অফিসের কর্মী রেজাউল ইসলাম খান। এই বিষয়ে পোস্ট মাস্টার মিলন অধিকারী বলেন, গত ২৩ মে থেকে লিঙ্ক না থাকার কারনে আমরা গ্রাহকদের পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারিনি। উচ্চ প্রসাশনের সকলকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। অপরদিকে পোস্ট অফিসের কর্মী রেজাউল ইসলাম খান বলেন, কয়েক হাজার গ্রাহক আছে যারা পরিষেবাটা পাচ্ছে না। লিঙ্ক না থাকার কারণে গ্রাহকরা ফিরে যাচ্ছে। গ্রাহকরা কটূক্তি করে যাচ্ছে। যাদের খুব প্রয়োজন তাদের জন্য আমরা টোটো ভাড়া করে হেড অফিসে গিয়ে কাজ করে দিচ্ছি। দেখা যাচ্ছে পেনসেন হোল্ডার ও এজেন্টদের অবস্থা আরও করুণ। রেকারিং হোল্ডারদের ফাইনের টাকা এজেন্টদের দিতে হচ্ছে। কারণ পোস্ট অফিসে সঠিক সময়ে রেকারিংয়ের টাকা সঠিক সময়ে জমা পড়ছে না। এমনটাই জানান তরুণকান্তি ভট্টাচার্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে এই বাসুদেবপুরের কৃষ্ণপুর পোস্ট অফিসের পথ চলা শুরু হয়। প্রথমে হেড পোস্ট অফিস হিসেবে কাজ শুরু হয়। তারপর হেডপোস্ট অফিস সরিয়ে নেওয়ার পর সাব পোস্ট অফিস হিসেবে কাজ শুরু হয়। প্রায় পাঁচ হাজার গ্রাহক এই পোস্ট অফিস থেকে পরিসেবা পায়। কিন্তু বর্তমানে গত কয়েক দিন ধরে লিঙ্ক না থাকায় সমস্যায় পরছেন গ্রাহকরা। এখন দেখার এই পোস্ট অফিসে পরিসেবা বজায় রাখতে কবে পরিষেবা চালু হয়।