আইপিএল এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রেখেছে বিসিসিআই। অনেক বিদেশি ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ ফিরে গিয়েছেন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির আবহে। প্রশ্ন উঠেছে অষ্টাদশ আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
বিসিসিআই নজর রাখছে পরিস্থিতির দিকে। দিন তিনেকের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে চলতি মাসেই আইপিএল ফের শুরু হবে, নাকি পরে তা নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সঙ্কেতের উপর।
আইপিএলে এবার ৫৭টি ম্যাচ হয়েছে। ধরমশালায় ৮ মে দিল্লি-পাঞ্জাব ম্যাচ ১০.১ ওভার পরেই বন্ধ করা হয়। আইপিএল ফের শুরু হলে এই ম্যাচ নতুন করে আরম্ভ হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। এখনও ফাইনাল-সহ ১৬টি ম্যাচ বাকি।
আইপিএল ফাইনাল কলকাতায় ২৫ মে হওয়ার কথা ছিল। রিজার্ভ ডে ২৬ মে। বিসিসিআই সূত্রে খবর, ১২ দিনে ১৬টি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেজন্য চেন্নাই, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুকে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। হায়দরাবাদে প্রথম কোয়ালিফায়ার ও এলিমিনেটর হওয়ার কথা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল কলকাতায় হওয়ার কথা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হতাশা সঙ্গী হতে পারে কলকাতার।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সব সময় নিরাপদ কলকাতাকে কেন সম্ভাব্য তালিকায় রাখা হবে না? বিশেষ করে ২০১৬ সালে টি২০ বিশ্বকাপের ভারত-পাক ম্যাচ আয়োজন নিয়ে সংশয় দেখা দিলে স্বল্প সময়ে তা আয়োজন করে তাক লাগিয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সিএবি। সব দল অবশ্য সব বিদেশিকে পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত নয়। তবে আশাও ছাড়ছে না।
কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইছে, আইপিএলের বাকি অংশ পরে হোক। তাতেও সমস্যা। অগাস্টে ভারত যদি বাংলাদেশ সফর বাতিল করে তবু তখন ইংল্যান্ডে দ্য হান্ড্রেড থাকবে। সেপ্টেম্বরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আছে। এতে অনেকেই খেলেন, যাঁরা আছেন আইপিএলেও। সবটা স্পষ্ট হতে পারে দিন তিনেকের মধ্যেই।

