প্লে-অফের দৌড়ে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প ছিল না। হারলেও ছিটকে যেত কেকেআর তা নয়। তবে তখন শুধুই জটিল অঙ্কে টিকে থাকা হত। এ দিন ঘরের মাঠে রাসেল মাসল দেখা গেল। সেই গত মরসুমে কেকেআর জার্সিতে একটি হাফসেঞ্চুরি এসেছিল। অবশেষে ঘরের মাঠে দুর্দান্ত ইনিংস। অংকৃষ রঘুবংশী, রিঙ্কু সিংরাও ব্যাট হাতে অবদান রাখলেন। বোর্ডে বড় স্কোর করেও স্বস্তিতে ছিল না কেকেআর। সৌজন্যে রিয়ান পরাগের বিধ্বংসী ব্যাটিং। শেষ অবধি মাত্র ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ে মহামূল্যবান ২ পয়েন্ট কেকেআরের ঝুলিতে।
ম্যাচটা শুরু থেকেই খাপছাড়া! এমন বলাই যায়। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে। সুনীল নারিনের ব্য়াটে বড় রান আসেনি। তবে গুরবাজ-রাহানে, রাহানে-অংকৃষ এবং অংকৃষ-রাসেলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ হয়। শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেলের ২৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস এবং রিঙ্কু সিংয়ে ৬ বলে ১৯ রান কেকেআরকে ২০৬ স্কোরে পৌঁছে দেয়।
বোর্ডে বড় রান, কেকেআর স্পিনারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মনে হচ্ছিল, ম্যাচ কার্যত পকেটে পুরে নিয়ে নাইট রাইডার্স। কিন্তু রিয়ান পরাগের বিধ্বংসী ব্যাটিং পরিস্থিতি বদলে দেয়। ইনিংসের দ্বাদশ ওভার। মইন আলির সেই ওভারে পাঁচটি ছয় মারেন রিয়ান পরাগ। তিনি ক্রিজে থাকা অবধি ম্যাচ রাজস্থানের নিয়ন্ত্রণেই। অবশেষে ৯৫ রানে থামেন। তাঁকে ফেরান হর্ষিত রানা। রাজস্থানের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার শুভম দুবেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন।
শেষ বলে ৩ রানের টার্গেট দাঁড়ায় রাজস্থানের। ২ রান নিলেও সুপার ওভার। সেই লক্ষ্যেই বল ঠেলে দু-রান নেওয়ার চেষ্টা করেন শুভম। কিন্তু রিঙ্কু সিংয়ের দুর্দান্ত ফিল্ডিং এবং পিক আপ থ্রোয়ে রান আউট। মাত্র ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়। এখান থেকে সব ম্যাচ জিতলে ১৭ পয়েন্ট অবধি পৌঁছতে পারে কেকেআর। সুতরাং, প্লে-অফের দৌড়ে সঠিক ট্র্যাকেই।

