হিটম্যান অপরাজিত, স্কাইয়েরও হাফসেঞ্চুরি; জয়ের হ্যাটট্রিক

ক্রিকেট প্রেমীরা আনন্দ করবেন নাকি হতাশ হবেন! কোনওটাই নয়। বরং বলা ভালো দ্বিগুণ আনন্দ। কিছুটা খারাপ লাগা থাকতে পারে ধোনির জন্য। কিন্তু রোহিত শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ফর্মে ফেরা যে কোনও ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীর কাছে উচ্ছ্বাসের বিষয়। রোহিতের ফর্ম নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলছিল। গত ম্যাচে শুরুটা ভালো করেছিলেন। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতটা সেখানেই ছিল। অবশেষে মরসুমের প্রথম হাফসেঞ্চুরি রোহিত শর্মার। হিটম্যান এবং স্কাইয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটের বিশাল জয়। নেট রান রেটও বাড়িয়ে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দুই দলের লড়াই ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে থাকে। পরস্পরের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই এ বার আইপিএল অভিযান শুরু করেছিল মুম্বই ও চেন্নাই। আইপিএলের এল ক্লাসিকো। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। ওয়াংখেড়েতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গত মরসুমে ওয়াংখেড়েতে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা সেঞ্চুরি করলেও দল হেরেছিল। এ বার রোহিত ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন।

টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুম্বই ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। চেন্নাই সুপার কিংস প্রত্য়াশামতোই পরিবর্তন করে। রাহুল ত্রিপাঠীর জায়গায় অভিষেক হল আয়ুষ মাহত্রের। ঘরের মাঠেই আইপিএল অভিষেক হল। দুই ওপেনার শেখ রশিদ (১৯) ও রাচিন রবীন্দ্র (৫) বড় রান করতে পারেননি। তিনে নেমে ১৫ বলে ৩২ রানের ইনিংস আয়ুষের। রবীন্দ্র জাডেজা এবং শিবম দুবের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৬ রান করে চেন্নাই।

পরের দিকে শিশিরের প্রভাব থাকবে। ফলে এই রান যে বড় নয়, সিএসকে শিবিরও জানত। প্রতিপক্ষর উইকেট নিতে না পারলে এই ম্যাচ জেতা কঠিন। ওপেনিং জুটিতে ৬৩ রান যোগ করেন রায়ান রিকলটন ও রোহিত শর্মা। রিকলটন ফিরলে তিনে পাঠানো হয় সূর্যকুমার যাদবকে। দ্রুত রান তুলে নেট রান রেটে বাড়িয়ে নেওয়াতেও নজর ছিল মুম্বইয়ের। সেটাই হল। রোহিত শর্মা ৪৫ বলে ৭৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। এর মধ্যে মাত্র ৪টি বাউন্ডারি ও আধডজন ওভার বাউন্ডারি। অন্য দিকে, সূর্যকুমার যাদব ৩০ বলে ৬৮ রান করেন। ১৫.৪ ওভারেই ৯ উইকেটের বিশাল জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =