জেল থেকে বেরিয়ে এসে নেশার আসরে ফিল্মি কায়দায় গুলি চালাতে গিয়ে গুলিতে জখম ঠাকুরনগরের এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভর দুপুরে ঠাকুরনগর চিকন পাড়া এলাকায়, আটক তিন, উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র এবং বেশ কিছু কার্তুজ। আহত কিশোরের নাম বিদ্যুৎ ব্যাপারী (১৭)। ঘটনাটি ঘটেছে, গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর চিকনপাড়া এলাকায়। তার পেটে গুলি লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বাড়ির পেছনে একটি লেবু বাগানে বসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ যুবক প্রথমে জানান তিনি বাড়ির পেছনে একটি লেবু বাগানে ছিলেন হঠাৎ করে কে বা কারা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে তৎক্ষণাৎ তার বন্ধুদেরকে খবর দিলে তার বন্ধুরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নিয়ে যায় স্থানীয় হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের ভয়ে গুলি চালানোর ঘটনাস্থলের ঠিকানা বাড়ির ছাদ পরিবর্তন করেন লেবুবাগান বলেছেন আহত যুবকের সঙ্গীরা। তবে পুলিশি জেরায় জানান, একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া গুলিবিদ্ধ যুবক বিদ্যুৎ ব্যাপারীর প্রতিবেশী বাল্য বন্ধু সুবীর হালদার (১৮) এর বাড়ির ছাদে বসে সুবীর হালদার, বিদ্যুৎ ব্যাপারী এবং অপ্রতীম হালদার এই তিন বন্ধু নেশা করছিলেন ছিলেন। অপ্রতীম হালদারের কাছেই ছিল গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র। নেশা করার সময় সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সিনেমার কায়দায় গুলি চালিয়ে দেব বলতে বলতেই অসাবধানতাবশত গুলি চালিয়ে দেয় অপ্রতীম। গুলির শধ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে সুবীর হালদারের দাদা বছর ২০ সায়নদীপ হালদার বাড়ি ছাঁদে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বিদ্যুৎ ব্যাপারী। সেখান থেকে কিশোরকে উদ্ধার করে দুই ভাই সায়নদীপ এবং সুবীর তারাই হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হওয়ায় সুবীর হালদার ও সায়নদীপ হালদারকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে গোটা ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে অপ্রতীম পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে পুলিশ অপ্রতীম হালদারকেও আটক করে পুলিশ। যে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করা হয় সেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ কয়েক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপ্রতীম হালদার বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে জেলে ছিলেন দীর্ঘদিন সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন। তবে জেল থেকে বেরিয়ে এই আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। পাশাপাশি যে লেবু বাগানের ঘটনাস্থল বলা হয়েছিল সেখানে গিয়েও উঠে আসে চাঞ্চল্যকর ছবি বাগানের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নেশাজাতীয় সামগ্রীর অংশ। স্থানীয়দের দাবি, অল্প বয়সি ছেলেরা এসে প্রতিনিয়ত মাঠে মধ্যে নেশা করেন। তাই প্রশাসনের আরো বেশি নজরদারির প্রয়োজন। প্রতিবেশীদের দাবি ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের জন্য উপযুক্ত শাস্তি হয়।