জমি দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদ। আর একে ঘিরে সংঘর্ষ। ব্যাপক বোমাবাজি। বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ছুটে যায় মানিকচক থানার পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। শনিবার ভোর বেলা থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে মালদার মানিকচক থানার গোপালপুর এলাকা। এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে খুন হয় এক তৃণমূল কর্মী। মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য মহম্মদ সইফুদ্দিনের অভিযোগ তার জমি দখল করতে আসছে ওই এলাকারই তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসির। বাধা দিতে গেলে তার পরিবার এবং তার অনুগামীদের ওপর হামলা চালানো হয়। বোমা নিয়ে আক্রমণ করে অভিযুক্তরা। অন্যদিকে মোহাম্মদ নাসির বলেন, সইফুদ্দিন একজন জমি মাফিয়া সেই অন্যের জমি দখল করে বেরায়। এর আগেও আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। এখন আমার নাম জড়িয়ে মিথ্যে মামলায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছি।
গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, কোথাও কাটমানি, জমি দখল এটাই তৃণমূলের কালচার। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ আর যার জেরে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন ব্যাহত হচ্ছে। আমরা দলীয়ভাবে পুলিশকে বলব কঠোর ব্যবস্থা নিতে। অন্যদিকে মানিকচক এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে বিজেপি। ওই এলাকায় বিজেপির কেউ নেই। কার্যত তিনি স্বীকার করে নেন উভয়পক্ষই তাদের দলের সদস্য। তবে এই ঘটনার সাথে রাজনীতির কোনো যোগাযোগ নেই। জমি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য বিবাদ। আমরা পুলিশকে বলেছি কঠোর ব্যবস্থা নিতে।