বিদেশে পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী করবেন?

আনন্দ করতে বিদেশ গেলেন, কিন্তু কোনও কারণে সেখানে গিয়ে যদি পাসপোর্ট হারায় তাহলে? কারণ, পাসপোর্ট না থাকা মানে ফেরার পথ বন্ধ। বিদেশ মানে চুরি, ছিনতাই হয় না এমনটা নয়। তাছাড়া যদি কোনও কারণে পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, তখন কিন্তু দেশে ফেরা একপ্রকার অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। তার ওপর অন্য দেশ, ভাষা সবই আলাদা।ভয় হওয়াটাই স্বাভাবিক।

বিদেশে পাসপোর্ট হারালে যা করণীয়-

১.পাসপোর্টের সামনের ও পিছনের পাতার রঙিন ফটোকপি সঙ্গে রাখুন। ভিসা হয়ে যাওয়ার পর সেটাও ফটোকপি করে রাখুন।ফ্লাইটের টিকিটের কপিও সঙ্গে রাখুন। সঙ্গে অবশ্যই ৫-৬টা পাসপোর্ট ফটো রাখবেন। আইডি কার্ডের ফটোকপিও সঙ্গে নেবেন। সেগুলোর অরিজিনাল থাকাটাও জরুরি।মনে রাখবেন পাসপোর্টের ফটোকপি তখন ভীষণ প্রয়োজন হবে। সেটা না থাকলে ঝামেলা আরও বাড়বে।

২. যেখানে পাসপোর্ট হারিয়েছে বা খোওয়া গিয়েছে সেখানে থানায় অভিযোগ জানিয়ে সেই, অভিযোগর সই ও স্ট্যাম্প মারা কপি সঙ্গে রাখতে হবে।

৩. এর পরের কাজ করবে আপনার দেশের দূতাবাস। যে দেশে যাচ্ছেন সেখানে আপনার দেশের দূতাবাস কোথায় আছে আগে থেকে জেনে নিন। ভারতের ক্ষেত্রে কোথায় বিভিন্ন দেশে দূতাবাস থাকে। কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশে থাকেব হাই কমিশন। এগুলো ছাড়াও, সেই দেশের অপেক্ষাকৃত ছোট জায়গায় থাকে কনস্যুলেট বা ডেপুটি হাই কমিশন। মিনিস্ট্রি অফ এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স সাইট থেকে যে দেশে যাচ্ছেন সেখানকার দূতাবাস বা কনস্যুলেটের ঠিকানা, ফোন নম্বর আগেই জোগাড় করে রাখুন। বিপদ হলে সেগুলো খুঁজে বের করা আরও চাপের। তাই আগেই এগুলো রেখে দিন। কারণ, থাকলে কোনও ক্ষতি হবে না। বিদেশে গিয়ে বিশেষ অসুবিধেয় পড়লেও দেশের দূতাবাসই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।আগে থেকে ফোন করে সমস্যা বললে নির্দিষ্ট সময়ে গিয়ে আপনি দেখা করতে পারবেন। সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থেরও প্রয়োজন হবে।

৪. পুলিশ কমপ্লেন ও অন্যান্য ডকুমেন্ট দেখিয়ে আপনাকে নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে এক সপ্তাহ সময় লাগবে নতুন পাসপোর্ট পেতে। যদি আপনি পর্যটক হন, অতদিন থাকা সম্ভব না হয় তাহলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের সাহায্যে এমারজেন্সি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেটা এক থেকে দুদিনে আপনি পেয়ে যাবেন। তা দেখিয়ে ফিরতেও কোনও অসুবিধে হবে না। এটা শুধু ফেরার জন্য একবারই ব্যবহার করা যাবে। এটার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। এই সার্টিফিকেট থাকলে আপনি দেশে ফিরতে পারবেন।

৫. পাসপোর্ট হারালে যে এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সেখানেও যোগাযোগ করতে পারেন। সুবিধে থাকলে তারা আপনার ফ্লাইট রি সিডিউল করতে পারে।

৬. ট্রাভেল ইনসিওরেন্স থাকলেও সুবিধে হতে পারে আর্থিক দিক থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 6 =