রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল মুম্বই। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নও। এ মরসুমে হঠাৎই চাপে পড়েছিল অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন মুম্বই। জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ষষ্ঠ ম্যাচে হেরেছিল। সেই ম্যাচে খেলেছিলেন টেস্ট দলের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল। তাঁরা ব্যর্থ হন। মুম্বই অবশ্য সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচ জিতে সহজেই নকআউট নিশ্চিত করে। এ বার সেমিফাইনালের দিকেও এক পা দিয়ে রেখেছেন বলা যায়। আর মুম্বইকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানেই।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে চলছে মুম্বই বনাম হরিয়ানা কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। প্রথম ইনিংসে ৩১৫ রান করেছিল মুম্বই। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ হলেও লোয়ার অর্ডারে শামস মুলানি এবং তনুষ কোটিয়ানের অনবদ্য ইনিংস। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস হয়েছিল দু-জনেরই। জবাবে হরিয়ানাকে প্রথম ইনিংসে ৩০১ রানেই গুটিয়ে দিয়েছিল মুম্বই। শার্দূল ঠাকুর আধডজন উইকেট নিয়েছিলেন। সামান্য লিডও অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। মুম্বইয়ের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি।
দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বইয়ের ওপেনিং জুটি দীর্ঘ হয়নি। আকাশ আনন্দ (১০) ও আয়ুষ মাহত্রে ৩১ রান করেন। তিনে নামা সিদ্ধেশ লাড ৪৩ রান করেন। মুম্বই ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানে। আগামী আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলবেন। তাঁকে কেকেআরের সম্ভাব্য ক্যাপ্টেনও মনে করা হচ্ছে। ইডেন গার্ডেন্স তাঁর হোমগ্রাউন্ড। সেখানে দাপট রাহানের ব্যাটে। সূর্যকুমার যাদবের (৭০) পর শিবম দুবের সঙ্গে দুর্দান্ত জুটি রাহানের। তৃতীয় দিন অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই মাঠ ছাড়েন রাহানে ও দুবে।
প্রথম শ্রেনির কেরিয়ারে আরও একটি সেঞ্চুরির দিকে অজিঙ্ক রাহানে।
রঞ্জি নকআউট পাঁচ দিনের ম্যাচ। তৃতীয় দিনের শেষে ৮৮ রানে অপরাজিত রাহানে। সব কিছু ঠিক থাকলে চতুর্থ দিন প্রথম ঘণ্টাতেই হয়তো সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলবেন। শিবম দুবে ৩০ রানে ক্রিজে। সব মিলিয়ে ২৯২ রানে এগিয়ে মুম্বই। সেমিফাইনালে এক পা ফেলে রেখেছে বলাই যায়।