দু’গোলে পিছিয়ে থাকা মহমেডানের রূপকথার প্রত্যাবর্তন, পয়েন্ট নষ্ট চেন্নাইয়ের

বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তাঁর দুরন্ত ফ্রি কিক থেকে অভাবনীয় এক জন ছিনিয়ে এনেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে গিয়ে সুনীল ছেত্রীদের মাটি ধরিয়ে এসেছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। আর মহমেডানের ওই দুরন্ত জয়ের পিছনে ছিলেন কাসিমভ। সেই কাসিমভই বুধবার চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে মোক্ষম সময়ে পেনাল্টি নষ্ট করে বসলেন। ততক্ষণে চেন্নাইয়িন ১-০ গোলে এগিয়ে। সাদা-কালো সমর্থকরা উৎসাহ দিচ্ছেন প্রিয় দলকে। পিছিয়ে যাওয়া মহমেডানের সমতা ফেরানোর দুরন্ত সুযোগ। কিন্তু কাসিমভের শট থামিয়ে দিলেন চেন্নাইয়ের গোলকিপার নওয়াজ।

তিনিই বক্সের মধ্যে ফাউল করেছিলেন লালরেমসাঙ্গা ফানাইকে। রেফারি পেনাল্টি দেন মহমেডানকে। চেন্নাই গোলকিপার সাদা-কালো ব্রিগেডের কাসিমভের শট থামালেন, সমতা ফেরাতে দিলেন না সাদা-কালো শিবিরকে। কাসিমভ গোল করতে না পারায় মাথায় হাত দিলেন। উপলব্ধি করতে পেরেছেন, কতবড় ভুল তিনি করে ফেলেছেন। কিন্তু কাসিমভ কি তখন জানতেন, তাঁর দল ওরকম অলৌকিক প্রত্যাবর্তন ঘটাবে শেষ ন’ মিনিটে। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে সরব হন মহমেডান ফুটবলাররা। বেতন সমস্যার জন্যই কি ফোকাস নড়ে গিয়েছিল? শেষ ন’মিনিট দেখলে মনে হবে, সে সব ঘটনা মাঠের বাইরে রেখেই খেলতে নেমেছে মহমেডান। খেলার ১০ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে চেন্নাইকে এগিয়ে দেন লালডিনপুইয়া। তাঁকে কেউ মার্কিং করলেন না। ফাঁকায় হেড করে গোল করলেন। তার পর কাসিমভ পেনাল্টি নষ্ট করেন। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রামবিয়া গোল করে চেন্নাইয়ের ব্যবধান আরও বাড়ান।

বাঁ দিক থেকে ফ্রাঙ্কার ভাসানো সেন্টার থেকে সোনার সুযোগ নষ্ট করেন জুইডিকা। কাহানি মে টুইস্ট সংযুক্ত সময়ে। প্রথমে ব্যবধান কমান পরিবর্ত হিসেবে নামা মনবীর। আবার তাঁর জন্যই মহমেডান খেলার শেষ লগ্নে পেনাল্টি পায়। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা মনবীর শট মারতে উদ্যত, ঠিক সেই সময়ে তাঁকে নিজেদের পেনাল্টি বক্সের ভিতরে পিছন থেকে মেরে ফেলে দেন লালডিনপুইয়া। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। রেমসাঙ্গা পেনাল্টি স্পট থেকে ২-২ করেন মহমেডানের হয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 1 =