মালদা : মালদার নেতা দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে বুধবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপরই এ ব্যাপারে বড় পদক্ষেপ নিল শাসকদল।
ধৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি দলের টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি পদে ছিলেন। বৃহস্পতিবার দলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নেতা খুনের অভিযোগে নাম জড়ানোয় নরেন্দ্রনাথকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হল।
মালদা জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক ভাবে নরেন্দ্রনাথকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মালদার তৃণমূল সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সি। বৃহস্পতিবার থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে জানান তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীও।
ধৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বা তাঁর পরিবারের দাবি, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। উঠে আসছে গোষ্ঠী কোন্দলের প্রসঙ্গও। যদিও এ ব্যাপারে দলের রাজ্য সহ সভাপতি তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “এটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত ঝামেলা। ২০২২ সালের গন্ডগোলের পর থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। দুলাল সরকারকে হুমকি দিতেও শোনা গেছে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। এর সঙ্গে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই।

