বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ধৃত প্রাক্তন কলেজ পড়ুয়া ও এক গৃহবধূ

বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ প্রাক্তন কলেজ পড়ুয়া এক বধূকে গ্রেপ্তার করল ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের ওমেন্স কলেজ রোড এলাকায়। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের প্রতিশোধ নিতেই নাকি অষ্টাদশী ওই বধূ এই আগ্নেয়াস্ত্রটি কিনেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে পুলিশ। আর ওই মহিলার এরকম কাণ্ড দেখে রীতিমতো হতচকিত হয়ে গিয়েছে ইংরেজবাজার থানার তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। সোমবার ওই মহিলাকে মালদা আদালতে পেশ করে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই মহিলার নাম ইয়াসমিন খাতুন। তার বাড়ি কালিয়াচক থানার ঘরিয়ালচক এলাকায়। ধৃত ওই মহিলার কাছ থেকে গুলিভর্তি একটি পাইপগান উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানতে পেরেছে,  রবিবার পুরনো কয়েকজন কলেজপড়ুয়া বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করতে আসে ওই গৃহবধূ। বান্ধবীরা ওমেন্স কলেজের নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে। তাদের দেখা করার পর এদিন রাতে ওমেন্স কলেজ রোডে  দাঁড়িয়ে ছিলেন মহিলা। সেখানে এক অপরিচিত যুবক তাকে বেআইনি এই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে যায়। আগেই ফোনে যোগাযোগ করে আগ্নেয়াস্ত্রের দামদার হয়েছিল। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ভয় দেখানোর জন্য নিজের কাছে বন্ধু মজুত করার পরিকল্পনা করেছিলেন ধৃত ওই মহিলা। এরপরই কোনও একটি সূত্র ধরেই অস্ত্র কারবারিদের কাছ থেকেই ওই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কিনে ধৃত হন মহিলা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  ৭ হাজার ৫০০ টাকায় বেআইনি এই আগ্নেয়াস্ত্রটি কিনেছিলেন ওই মহিলা। ৮ মাস আগে নদিয়ার করিমপুরে বিয়ে হয় এক শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদারের সঙ্গে বিয়ে হয় কালিয়াচকের ওই যুবতীর। স্বামী ভিন রাজ্যে ঠিকা শ্রমিক করেন‌। নিজের  কাছে  আগ্নেয়াস্ত্রটি মজুত রাখতে চেয়েছিল ওই নববধূ।

পুলিশ জানিয়েছে, গভীর রাতে ওমেন্স কলেজ রোডে সন্দেহজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ইংরেজবাজার থানার মহিলা পুলিশের একটি টিম ওই যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তার কাছে থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়।ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে,  এই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রটি কি কারণে কিনেছিল নববধূ,  তা এখনও পরিষ্কার করে জানা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × five =