রুদ্ধশ্বাস জয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল মোহনবাগান

এ যেন গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া! আর কীই বা বলা যেতে পারে। যে আত্মতুষ্টি নিয়ে ভয় পাচ্ছিলেন কোচ হোসে মোলিনা, কিছুক্ষণের জন্য তা ভর করেছিল মোহনবাগান শিবিরে। ভুল শুধরে নিতেও দেরী করেনি তারা। প্রথমার্ধে ১-০ লিড ছিল মোহনবাগানে। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের ভুলের খেসারত। সমতাও ফেরায় কেরালা ব্লাস্টার্স। কিন্তু পাঁচ গোলের ম্যাচে শেষ অবধি জয়ের হাসি মোহনবাগান শিবিরেই। ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৩-২ ব্যবধানে হারাল সবুজ মেরুন। পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থান আরও কিছুটা মজবুত হল।

শেষ আট ম্যাচে অপরাজিত। সাতটিই জয়। টানা চার ম্যাচেও জিতল মোহনবাগান। এ মরসুমে একেবারেই ছন্দে নেই কেরালা ব্লাস্টার্স। শীর্ষে থাকা মোহনবাগানের বিরুদ্ধে সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করবে, এমনটাই প্রত্যাশিত। ম্যাচের শুরুর দিকে দাপট দেখালো কেরালা ব্লাস্টার্সই। তবে ৩৩ মিনিটে মোহনবাগান গ্যালারিতে উৎসবের সুযোগ করে দেন জেমি ম্যাকলারেন। দুর্দান্ত গোল। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুক্ষণের জন্য মনসংযোগে ব্যাঘাত। তাতেই সমস্যা তৈরি হল। নিজেদের বক্সে শুভাশিসকে পাস করেছিলেন আলবার্তো। শুভাশিস আনমনে দিশাহীন পাস করেন। আর সেই সুযোগেই গোল জেসুস জিমিনেজের।

ম্যাচের ৭৭ মিনিটে আরও একটি গোল কেরালা ব্লাস্টার্সের। এ বারও নিজেদের ভুলের খেসারত। দ্রুতই জোড়া পরিবর্তন করেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। আর তাতেই বাজিমাত। ভুল শুধরে দুর্দান্ত কামব্যাক। ৮৬ মিনিটে মোহনবাগানের সমতা ফেরান সুপার সাব জেসন কামিন্স। তবে এত লড়াই করে তো আর ২ পয়েন্ট ছেড়ে আসা যায় না! নিজেদের ভুলে যেমন প্রতিপক্ষকে গাছে তুলেছিল, তেমনই মই কেড়েও নিল মোহনবাগান। অ্যাডেড টাইমে আলবার্তো রডরিগেজের অবিশ্বাস্য গোলে জয় মোহনবাগানের।

ম্যাচ শেষে মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা বলেন, ‘শুরুর দিকে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তবে ওরা লড়াই করে গিয়েছে। পারফরম্যান্সের নিরিখে হয়তো খুব ভালো নয়। তবে শেষ অবধি তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ছি, এটাই বড় কথা। বেশ কিছু খামতি রয়েছে। সেগুলো দ্রুত শুধরে নিতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − 4 =