গোলাপি টেস্টে ব্যাকফুটে ভারত। এর জন্য নিজেদেরও দায়ী করা যায়। তার প্রথম কারণ, ব্যাটিং বিপর্যয়। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮০ রান করেছে ভারত। ইনিংসের প্রথম বলে যশস্বী জয়সওয়ালের উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুল ও শুভমন গিল ৬৯ রান যোগ করেন। পরপর রাহুল, বিরাটের উইকেট। শেষ দিকে নীতীশ রেড্ডির ক্যামিও ইনিংস। দিন-রাতের টেস্টে গোধূলীর সময়টা চ্যালেঞ্জিং। অস্ট্রেলিয়া যে সময় ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ভারতের কাছে এই ১৮০ রানের পুঁজিটাও বিরাট বলা যেত। কিন্তু জসপ্রীত বুমরার এক উইকেটই প্রথম দিনের প্রাপ্তি ছিল ভারতের। দ্বিতীয় দিন ট্রাভিস হেডের জোড়া ক্যাচ মিস। সেই হেডের ১৪০ রানের সৌজন্যে অ্যাডভান্টেজ অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ১০০ প্লাস রানের লিড নিলে ভারতের চাপ বাড়বে, এমনটা মনে করা হয়েছিল। অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হল ৩৩৭ রানে। টি-ব্রেকের পরই জোড়া উইকেট নেয় ভারত। সব মিলিয়ে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লিড দাঁড়ায় ১৫৭। ভারতের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সহজ ছিল না। বিশেষ করে ভারতকে গোধূলীর সময় ব্যাটিংয়ে নামতে হওয়ায় চাপ বাড়ে। যশস্বী জয়সওয়াল-লোকেশ রাহুল জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
দ্বিতীয় ইনিংসে পার্টনারশিপ গড়তে হিমসিম খেল ভারত। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়তে থাকে। বিরাট কোহলিও দাগ কাটতে ব্যর্থ। রোহিত শর্মা গোল্ডেন ডাক হতে বাঁচেন। স্টার্কের বলে লেগ বিফোরের আবেদন ওঠে। অন ফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি আউটও দেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ারের তরফে গ্যাফানির কাছে তথ্য আসে, ওভারস্টেপিংয়ের জন্য নো-বল। জায়ান্ট স্ক্রিনেও দেখা যায়। যদিও তাঁর ইনিংস দীর্ঘ স্থায়ী হয়নি। মাত্র ৬ রানেই ফেরেন ক্যাপ্টেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে ৫ উইকেটে ১২৮ তুলেছে ভারত। ক্রিজে রয়েছেন ঋষভ পন্থ ও নীতীশ কুমার রেড্ডি। ভারত এখনও পিছিয়ে ২৯ রানে। ফলে ইনিংস হারের ভ্রুকুটিও রয়েছে।