লিগ টেবলে এতদিন তলানিতে ছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বারের আইএসএলে টানা ছয় ম্যাচ হেরেছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। আধডজন হারের পর ইস্টবেঙ্গল অংশ নেয় এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে। নতুন কোচ অস্কার ব্রুজোর কোচিংয়ে ভুটানে অনবদ্য পারফরম্যান্স। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের নকআউটেও জায়গা করে নিয়েছে লাল-হলুদ। পরবর্তী লক্ষ্য ছিল ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ফর্মে ফেরা। নিজেদের সপ্তম ম্যাচ থেকেই যেন সেই আত্মবিশ্বাসটা পেতে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল।
লিগে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই দুটো রেড কার্ড। নয় জনের ইস্টবেঙ্গল আরও বাড়তি তাগিদ নিয়ে খেলেছিল। মহমেডান স্পোর্টিংকে রুখে দেয় তারা। মরসুমের প্রথম পয়েন্টও ঝুলিতে নেয়। সেখান থেকেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল। অবশেষে গত ম্যাচে ‘অষ্টম’ আশ্চর্য ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। নর্থ ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ডায়ামান্টাকোসের একমাত্র গোলে জয় ছিনিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচে দু-দলেরই একজন করে রেড কার্ড দেখেছিলেন।
দু-দিন আগেই ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজো জানিয়েছিলেন, এখান থেকেও প্লে-অফে যোগ্যতা অর্জন করতে পারে ইস্টবেঙ্গল। তাঁর স্বপ্ন অসম্ভব না হলেও খুবই কঠিন, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। পরপর দু-ম্যাচ জিতে ইস্টবেঙ্গল কোচ যেন সেই স্বপ্নটাই বাস্তবের আশা জাগালেন। অ্যাওয়ে ম্যাচে চেন্নায়িন এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারাল ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন তরুণ ফুটবলার বিষ্ণু। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে জিকসন আরও একটি গোল করেন। ১২ ডিসেম্বর ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে খেলবে ইস্টবেঙ্গল। পয়েন্ট টেবলে আপাতত ১১ নম্বরে উঠে এল লাল-হলুদ।