পাঞ্জাবের কাছেও হার মহমেডানের

শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটে হার। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মহমেডানের জয়ের জন্য ঝাঁপানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। দুই দলই ৪-৩-৩ ফরমেশনে শুরু করে। প্রথমার্ধে খুব বেশি ওপেন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনও দলই। তবে বল পজেশন থেকে গোল লক্ষ্য করে শট, মহমেডানের বেশি ছিল। পাঞ্জাবের যাবতীয় আক্রমণ লুকাকে কেন্দ্র করে হয়। অন্যদিকে মহমেডানের আক্রমণভাগের মূলে ছিলেন অ্যালেক্সিস গোমেজ। বেশ কয়েকবার বাঁ দিক থেকে বিপজ্জনক দেখায় ফ্রাঙ্কাকে। কিন্ত সাদা কালোর জার্সিতে এখনও গোলমুখ খুলতে পারেননি ব্রাজিলীয়। সামনে ফানাই, মাঞ্জোকি এবং ফ্রাঙ্কাকে রেখে শুরু করেন আন্দ্রে চের্নিশভ। কিন্তু প্রথমার্ধে একটাই ওপেন সুযোগ কলকাতার দলের। ম্যাচের ১৮ মিনিটে আলেক্সিস গোমেজের পাস থেকে বাইরে মারেন রেমসাঙ্গা। প্রথম ৪৫ মিনিটে পাঞ্জাবেরও একটাই সুযোগ। ম্যাচের ১৫ মিনিটে লুকা মাচজেনের শট মহমেডান গোলকিপারের হাতে লেগে পোস্টে লাগে। বিরতিতে স্কোরলাইন গোলশূন্য।

বিরতির পর শুরুটা ভালই করে মহমেডান।‌ কিন্তু সেই ফিনিশিংয়ের অভাব। যে দুটো সুযোগ মিস করেন রেমসাঙ্গা, ক্ষমার অযোগ্য। চের্নিশভের জন্য খারাপ লাগা স্বাভাবিক। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে ফ্রাঙ্কার মাইনাস থেকে বাইরে মারেন রেমসাঙ্গা। পা ছোঁয়ালেই নিশ্চিত গোল। কিন্তু এই অবস্থায় বাইরে মারেন। তার কয়েক মিনিট পরই পাঞ্জাবের নিশ্চিত গোল বাঁচান মহমেডান কিপার ভাস্কর রায়। মির্সলজাকের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে সেভ করেন। কিন্তু গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি পাঞ্জাবকে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন লুকা মাচজেন। ফিলিপ মির্সলজাকের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। রিকির পাস থেকে চলন্ত বলে ডান পায়ের শটে দুরন্ত ফিনিশ মাচজেনের। পাঞ্জাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে মাদি তালালকে ছাপিয়ে যান। পাঞ্জাবের জার্সিতে ১৩ গোল করে ফেললেন লুকা। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে ২-০। ভিদালের থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোরাল শটে গোল মির্সলজাকের। অন্তিমলগ্নে হাতেগোনা দু’একবার হাফ চান্স পায় সাদা কালো ব্রিগেড। কিন্তু ব্যবধান কমেনি। টানা হারে আরও কোণঠাসা মহমেডান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × two =